বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুনপুটে বন্ধ হয়ে গেল ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ (DRDO Project Junput)। প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। অবশেষে স্থানীয়দের বাধায় কাজ বন্ধ করে দিল ডিআরডিও। জানা যাচ্ছে, গত ১০ জুলাই থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। এর নেপথ্যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা রয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কাঁথির বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।
জুনপুটে বিমান মহড়া বাতিল ডিআরডিও-র (DRDO Project Junput)
বুধবার থেকে ডিআরডিও-র বিমান মহড়া তথা ফ্লাইট ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। যে কারণে ১৭-১৯ জুলাই এবং ২৪-২৬ জুলাই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়। সেই সঙ্গেই লঞ্চিং প্যান্ডের চারপাশ টিন দিয়ে ঘেরার কাজ করছিল কলকাতার এক ঠিকাদার সংস্থা। ইতিমধ্যেই একটি দিক ঘেরার কাজ সম্পন্নও হয়েছে। এরপরেই বাঁধে বিপত্তি!
অভিযোগ, গত ১০ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক আমিন সোহেলের নেতৃত্বে মৎসজীবীরা গিয়ে কলকাতার ওই ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন। এরপর ঠিকাদার সংস্থার লোকজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে সেখানে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা নজরদারি চালাছেন। এই বিষয়ে কাঁথি ১-এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, DRDO-র তরফ থেকে মৌখিকভাবে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভোটের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি…’! জেতার পর এলাকা থেকে গায়েব, কী বলছেন পাঠান?
এদিকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কাঁথির বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘DRDO-র প্রকল্পের জন্য রাজ্য জমি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কারা কাজে বাধা দিচ্ছে সেটার তদন্ত হওয়া উচিত। দেশের সুরক্ষায় DRDO কাজ করে। এই বিষয়ে এনআইএ তদন্ত চাইব’। অন্যদিকে জুনপুট মৎস্যখটির সভাপতি শেখ নজু ও সহকারী সম্পাদক জাহেদ আলি বলেন, মৎসজীবীদের তরফ থেকে ঠিকাদার সংস্থার লোকেদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।
অভিযোগ উঠছে, জুনপুটে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ (DRDO Project Junput) বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে তৃণমূলের। যদিও শাসক দলের নেতা আমিন বলেন, কিছু মৎসজীবী সংগঠন, বিজ্ঞান কর্মী এবং পরিবেশপ্রেমীরা অরাজনৈতিকভাবে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের অসুবিধার কথা তুলে ধরে আন্দোলন করছেন। কাজ বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের আবার প্রশ্ন, এই কেন্দ্রের দায়িত্বে যে মন্ত্রক তারা কি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? জেলা প্রশাসনের কাছে বাধার বিষয়ে জানিয়েছে?
উল্লেখ্য, আগামী মার্চ মাসে জুনপুট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ (DRDO Project Junput) হওয়ার কথা রয়েছে। এক বছর দুই থেকে তিনবার উৎক্ষেপণ হবে বলে খবর। ওই নির্দিষ্ট কিছু দিনে মৎসজীবীদের এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। সেই কারণে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। তবে এবার ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ বন্ধ হয়ে গেল। এবার তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।