বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবিলম্বে দূর করুন মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাস। সারা রাজ্য তথা সারা দেশ জুড়ে চলছে সচেতনতামূলক এই অভিযান। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মদ্যপান (Alcohol Benefits) কিংবা ধূমপান করলে কমে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এল এমনই চঞ্চল্যকর তথ্য। আর যা ঘিরে রীতিমত বিতর্ক ছড়িয়েছে সব মহলেই।
আমেরিকার কলেজ অফ কার্ডিয়লজির জার্নালে প্রকাশিত সেই তথ্যটি তুলে ধরেছে এক সংবাদ মাধ্যম। প্রতিদিন ঠিক কতটা পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা যায় তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন গবেষকেরা। আর সেই তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকদিন একজন মহিলা এক গ্লাস এবং একজন পুরুষ দু’ গ্লাস করে মদ্যপান করতে পারবেন।
গবেষকদের প্রধান তথা কার্ডিওলজিস্ট আহমেদ তাওয়াকোলে এ বিষয়ে জানান, ‘ আমাদের এই গবেষণার মাধ্যমে মানুষকে অ্যালকোহল সেবনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে না। বরং আমাদের এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে হালকা এবং মাঝারি মদ্যপান কার্ডিও ভাস্কুলার রোগ কমাতে পারে সেটা দেখা’।
জানা যায়, প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের ওপর চালানো হয়েছিল এই পরীক্ষা নিরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষাতেই দেখা গেছে যে যারা প্রতি সপ্তাহে একবার কিংবা তার বেশিবার মদ্যপান করেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
আবার যারা নিয়মিত নয় তবে মাঝেমধ্যে মদ্যপান করেন সে সমস্ত মানুষেরও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন কাদিওলজিস্ট আহমেদ তাওয়াকোলে। এছাড়াও তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য।
যে সমস্ত মানুষ অতিরিক্ত টেনশনে ভোগেন তাদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে মদ্যপান। টেনশন কমাতে মাঝে মধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি মদ্যপান করা যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের ক্ষেত্রে মোটেই ভালো নয় সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে কলেজ অফ কাজিওলজির জার্নালে। অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে ঝুঁকি বাড়তে পারে ক্যান্সারের।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত মদ্যপান নিয়ে এর আগেই সতর্কবাণী শোনানো হয়েছিল নেচার কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে। জানানো হয়েছিল, কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত মদ্যপান করেন তাহলে লিভার থেকে শুরু করে কিডনির নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমে যেতে পারে আয়ু।