বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিজে থেকে মিঠাইকে (mithai) বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বদল ঘটেছে সিদ্ধার্থর (siddharth)। এখন আর আগের মতো নেই ‘দাদুর লাটসাহেব নাতি’। মিঠাই এর পদে পদে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সকলেরও অনেক কাছে চলে এসেছে সে। এদিকে সকলে খুশি হলেও মিঠাই সিডের এই ভালবাসা দেখে জ্বলছে তোর্সা (torsha)। সোমকে বিয়ে করে তার মনোহরাতে পা রাখারও এটাই মূল উদ্দেশ্য।
তবে এতদিন টেসের সমস্ত চাল ব্যর্থ করে দিয়ে পালটা মাত দিয়ে এসেছে মিঠাই। সিডও এখন বৌয়ের সমর্থনে। এক সময়ের প্রিয় বান্ধবীকে মাঝে মাঝেই বৌদিমণি বলে ডেকে ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে সে। সম্প্রতি সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, বাড়ির বড়দের অনুপস্থিতিতে ছোটরা সোম ও তোর্সার জন্য একটি পার্টির ব্যবস্থা করে।
আগে থেকেই তোর্সা মিঠাইকে সাবধান করে দিয়েছিল, পার্টিতে সবার সামনে যদি সিড তাকে বৌদিমণি বলে ডাকে তবে কার্তিক ঠাকুরের নাক কিন্তু সে উপড়ে ফেলবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিঠাইয়ের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পার্টিতে গানের মাধ্যমে টেসকে ‘ভাভি’ বলে ডাকে সিদ্ধার্থ। ব্যস, তোর্সা রেগে আগুন! মিঠাইকে কীভাবে জব্দ করবে যাতে সিড তার আসল রূপ দেখতে পায় তারই প্ল্যান ছকতে থাকে সে।
পেয়েও যায় প্ল্যান। বাড়ির সকলে যখন ছাদে খাওয়ার তদারকি করছে তখন মিঠাইকে একা পেয়ে জোর করে গলায় ঢেলে দেয় রঙিন পানীয়। এই বিশেষ জিনিসটা খেলেই নাকি তার কার্তিক ঠাকুরকে দেখতে পাবে মিঠাই, এই টোপ দেয় তোর্সা। নেশার ঘোরে মিঠাইও একটার পর একটা গ্লাস শেষ করতে থাকে।
https://www.instagram.com/p/CW0u4mqh9ZY/?utm_medium=copy_link
কিন্তু এতে ফেঁসে যায় তোর্সা নিজেই। নেশায় চুর হয়ে মিঠাই দেখে, সিডের নাক সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরেছে তোর্সা। ব্যস, মিঠাইকে আর দেখে কে! হুঙ্কার দিয়ে টেবিলের উপর উঠে দাঁড়ায় সে। “আমার কাত্তিক ঠাকুরের নাক উপড়াবে!”, সাঁড়াশি নিয়ে বড় জাকেই তাড়া করে মিঠাই। তার মাথায় তখন ভূত চেপেছে!
কাণ্ড দেখে বাকিরা তখন থরহরি কম্প। গোটা বাড়ি তাড়া করে শেষে সিডের ঘরে গিয়েই বড় জাকে চেপে ধরে মিঠাই। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষমেষ দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে সকলে। মিঠাইয়ের গায়ে এক বালতি জল ঢালতে তবে সে শান্ত হয়। এই কাণ্ড নিয়ে পরের দিন রেগে আগুন সিদ্ধার্থ। কাঁচুমাচু মিঠাইয়ের পাশে দাঁড়ায় নন্দা। দাদাইয়ের কাছেই সে বিচার প্রার্থনা করে। একা মিঠাই কেন শাস্তি পাবে? এবার দাদাই কী করেন সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় দর্শকরা।