বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ-সহ মোট ১০টি প্রকল্পে মানুষের আরও কাছে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়।
এই ১০টি প্রকল্পের সুবিধা নিতে ইচ্ছুক মানুষের নাম নথিভুক্ত করাতে এবং এগুলি সম্পর্কে অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য, ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ‘দুয়ারে সরকার’। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হয় তৃণমূল তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর।
রাজ্য সরকারের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই মূল লক্ষ্য তাদের। সেই জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় সমাধান’-এর মতো একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে কর্মসূচী শুরু করা হবে। বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
তিনি বলেন, “১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচী চলবে। এর মধ্যেই রাজ্যে চারটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার নভেম্বরে পঞ্চম পর্ব হবে।” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই শিবিরে পঁচিশ ধরনের পরিষেবা পাওয়া যাবে।
২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের ঘরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই ছিল তাঁর লক্ষ্য। নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারের চতুর্থ পর্বের শিবিরে পরিষেবা পেয়েছেন ৫৯ লক্ষ মানুষ।
এই প্রকল্পটি শুরু থেকেই প্রশংসিত। বারবার বিভিন্ন রেকর্ড গড়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে এই প্রকল্পটি। দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে বহু মানুষ তাড়াতাড়ি তাঁদের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে।