বাংলাহান্ট ডেস্ক: মেয়েরা বিয়ে করে স্বামীর ঘরে আসে চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে। ছোট থেকেই সব মেয়েরাই চান যেন তার স্বামী হয় রাজপুত্তুরের মত। গল্পের মত রাজকুমার আসবে ঘোড়ায় চেপে তাকে নিয়ে যাবে রাজপ্রাসাদে। ওই যে বাংলায় একটা কথা আছে স্বামীরাই নাকি স্ত্রীদের অলঙ্কার সাথে অহঙ্কারও। কিন্তু কজন স্ত্রীর সেই সৌভাগ্য আছে যে স্বামীর সুখ পাওয়ার। বর্তমান যুগে বিয়ে হতে না হতেই ডিভোর্স পেপার চলে আসে। তবে সব মেয়েদের সাথে কিন্তু এমন হয় না। কিছু কিছু মেয়ে আছেন যারা হন সৌভাগ্যবতী। স্বামীরা তাকে রাজার হালে রাখেন। তেমনি দুবাইয়ের এক শেখের (Dubai Sheikh) স্ত্রী থাকেন রাজকুমারীর মত। যত্ন আত্তিতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি হয় না। তবে এই সুখের মাঝে রয়েছে কড়া নিয়মের বেড়াজাল।
দুবাই শেখের (Dubai Sheikh) জীবনে কে সেই সৌভাগ্যবতী যিনি রাজকুমারীর মতো থাকেন?
সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যে পোস্টে দেখে রীতিমত সকল স্ত্রীরাই আফসোস করছেন। নিজের ভাগ্যকেও দুষতে ছাড়ছেন না। পোষ্টটি করেছেন মূলত একজন সৌদি নামের এক মহিলা। তিনি দুবাই শেখের (Dubai Sheikh) প্রিয়জন। হামেশাই তিনি ইন্সটাগ্রামে নিজের জীবনে ছোট ছোট টুকরো মুহূর্ত গুলি ভাগ করে নেন। কখনো স্বামীর সাথে আবার কখনো একা এসে। তেমন একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেন। যে পোস্টে তিনি বলেছেন, “আমাকে আপনারা সৌদিরেলাও বলতে পারেন। কারণ আমি ওঁর রাজকুমারী।” ও বলতে সৌদি তার স্বামীকে বুঝিয়েছেন। আর সেই সাথে তিনি উল্লেখ করেছেন স্বামীর কড়া শাসনের কথা।
সৌদি যে সমস্ত কড়া শাসনে বন্দী:
যদিও এটিকে শাসন বলে না বলে পজেসিভনেস। আর স্ত্রীর উপর স্বামীরা অধিকার দেখাবে না তো আর কে দেখাবে বলুন। তবে সৌদির স্বামী অর্থাৎ দুবাই শেখ (Dubai Sheikh) একটু অন্যরকম। সৌদির বক্তব্য অনুযায়ী, তাকে ম্যাচিং হাতব্যাগের সঙ্গে ম্যাচিং জুতো পরতে হবে। কারণ তার স্বামী মনে করেন এতে করে সৌন্দর্যের সামঞ্জস্য বজায় থাকে। শুধু তাই নয় একই সাথে তিনি জানিয়েছেন, সৌদির জীবনে কোন পুরুষ বন্ধু নেই। বলা ভালো থাকা বারণ। আর এই বিষয় প্রথম থেকেই সৌদির সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে স্বামীর।
আরোও পড়ুন : মুনমুনকে গ্রিন করিডরে আনার নির্দেশ! ‘আত্মীয়কে হারালাম’! ভরতের প্রয়াণে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে শাসনের তালিকা এখানেই শেষ নয়। একাধিক নিয়ম তার জীবনে। তিনি জানিয়েছেন, তার কখনো ইচ্ছে হলেও কোন চাকরি করতে পারেন না। কারণ সৌদির স্বামী অর্থাৎ দুবাই শেখ (Dubai Sheikh) চান না যে সে কাজ করুক। যাবতীয় খরচ বহন করতে চান তার স্বামী। এমনকি কোনো কিছুতেই কমতিও রাখেন না তিনি। শুধু কি তাই, স্ত্রীর রান্নাঘরে যাওয়াও নাকি বারণ। তাই জন্য তারা বেশিরভাগ সময়ের রেস্তোরাঁতেই গিয়ে খান। এই স্বামীকে কি এবার চিনতে পেরেছেন?
ইনি হচ্ছেন সেই গুণধর ব্যক্তি যিনি স্ত্রীর বিকিনি পড়ার জন্য একটি আস্ত দ্বীপই কিনে নিয়েছিলেন। আসলে স্ত্রীকে কেউ যাতে ওই অবস্থায় দেখে না ফেলে বিশেষ করে পুরুষেরা তার জন্যই দ্বীপ নিয়েছিলেন তিনি। তখন যেমন সেই ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে, এবারও সেই ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। সৌদির এমন সব কথা শুনে নেটাগরিকরা হতবাকই হয়েছেন। অনেকের মতে, এরকম জীবনকে বাঁচা বলে না, বলে জেলখানায় বন্দি জীবন।