বাংলাহান্ট ডেস্ক : উষ্ণায়নের (Global Warming) ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চোখে পড়ছে। কোনও জায়গায় গ্রীষ্মকালেও হচ্ছে তুষারপাত, আবার কোনও জায়গায় শীতকালে পড়ছে বৃষ্টি। বিশ্বের কিছু অংশের তাপমাত্রা গরমকালে এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যা সহ্যের অতীত।
এপ্রিল মাসে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর (The World) এমন অনেক জায়গা আছে যার খুব কাছে চলে এসেছে সমুদ্র। উষ্ণায়নের পরিমাণ এইভাবে বৃদ্ধি হতে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর এই জায়গা গুলি সম্পূর্ণভাবে চলে যাবে জলের তলায়।
মালে, মালদ্বীপ: যত দিন যাচ্ছে ততই উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রের। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মালের সেই হার ছিল ১.৪ মিলিমিটার। ২০১৫ সাল নাগাদ সেই হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩.৬ মিলিমিটার। রিপোর্ট বলছে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই জায়গাটি চলে যাবে সমুদ্রের তলদেশে। দেশটির ৭৭ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণভাবে জলের গভীরে চলে যেতে পারে।
কিরিবাতি, ওশিয়ানিয়া: ওশিয়ানিয়ার কিরিবাতিতে জনসংখ্যা এক লক্ষ কুড়ি হাজার। ভবিষ্যতেই দেশে দুই তৃতীয়াংশ ভূমি চলে যেতে পারে জলের তলায়।
চিন: বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র চিন। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য এই দেশও ক্ষতির সম্মুখীন। চিনের ৪০ মিলিয়ন মানুষ সমুদ্রের কাছে বসবাস করেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
ঢাকা, বাংলাদেশ: আমাদের পড়শি দেশ বাংলাদেশও কিন্তু বিপদসীমার কাছেই রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সে দেশের ৩২ কোটি মানুষের ক্ষতি হতে পারে।
ব্যাংকক, থাইল্যান্ড: ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী দিনে থাইল্যান্ডও সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে।
ভারত: বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতবর্ষও (India) বিপদ সীমার খুব কাছে রয়েছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জলে ডুবে যেতে পারে ২৭ কোটি মানুষের জমি।