বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, ভেসে যাচ্ছে রাস্তা, ধসের মুখে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সারারাত টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম (Sikkim)। বিরাট জলস্ফীতিতে ফুঁসছে তিস্তা নদী (Tista River)। রবিবার সকালে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ২৬০০ কিউসেকের বেশি জল। যার জেরে সেচ দপ্তর হলুদ সর্তকতা জারি করেছে। চলতি মরশুমে এই প্রথম তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই ধসের জেরে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।  ক্রমশ বসে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পাড় ধরে জাতীয় সড়ক যাওয়ায় ওই রাস্তা।

এছাড়াও ধ্বস নেমেছে বেশ কিছু জায়গায়। বৃষ্টির জলের তোড়ে ধস নেমেছে একাধিক এলাকায়। ইতিমধ্যেই কালিম্পং জেলার একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাসে ফুঁসছে টুনা নদীও। যার জেরে ফাঁসি দেওয়া, গঙ্গারাম চা বাগানে ঢোকার মুখের একটা রাস্তা ভেঙে চলে গিয়েছে এই নদীর গ্রাসে। একের পর এক রাস্তা ধস নেমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। 

আরও পড়ুন: টানা ৯০ দিনের ট্রাফিক ব্লক! মেট্রোর কাজের জন্য ই এম বাইপাসে যানজটের আশঙ্কা

২০২৩ সালে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা এই রাতের বৃষ্টিতে আবার ভেঙে গিয়েছে। যা পরপর মোট সাতটি গ্রামের ভরসা ছিল। যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ছিল এই রাস্তা। কিন্তু প্রকৃতির এই ধ্বংস লীলার মধ্যে পড়েও প্রশাসনের তরফ থেকে কোন সাহায্য আসেনি  বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।  একইভাবে ধস অব্যাহত রয়েছে কালিম্পং এবং কার্শিয়াংয়ে ধস অব্যাহত রয়েছে।

tista 2 1

শনিবার ভোরে কার্শিয়াংয়ের শেপরা বস্তিতে এই ধসের কবলে পড়ে আহত হয়েছেন এক মহিলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি বাড়ি, প্রশাসন সূত্রে খবর ওই ধস কবলিত এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে ধস নেমেছে। তাই এখন বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাচ্ছে যানবাহন।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর