আশঙ্কা হল সত্যি! রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে বিপর্যস্ত ভারত! রেকর্ড হারে দর পতন টাকার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ১০ দিনেরও বেশি সময়ে ধরে স্থায়িত্ব অর্জন করেছে। এদিকে, ওই যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বের অর্থনীতির পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতিকেও একপ্রকার স্তব্ধ করে দিচ্ছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্তদের পকেটে।

অপরিশোধিত তেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধির কারণে ডলার প্রতি টাকার মূল্যও কার্যত সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আজ অর্থাৎ সোমবারের ভিত্তিতে, আমেরিকান মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার দর কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৯২ টাকায়। যদিও, এর পরে একটি সময়ে ৭৬.৯৬ টাকার নিম্ন স্তরে পৌঁছে যায় এটি। তবে শুক্রবার বাজার বন্ধের আগে ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রা ছিল ৭৬.১৬ টাকায়।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেনের ভয়ঙ্কর যুদ্ধের আবহে টাকার এই বড় পতন দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো ভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি দেশের Trade and Current Deficit ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, টাকার এই পতন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকেও প্রভাবিত করবে। সবমিলিয়ে যুদ্ধের ফলে এই পতনের প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিকে যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলেছে।

সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজরি অনুসারে জানা গিয়েছে যে, সারা বিশ্বে বিক্রি বন্ধের কারণে, ভারতীয় স্টক মার্কেটেও আজ ট্রেড শুরুর সময়েই বাণিজ্যে ২ শতাংশেরও বেশি পতন দেখা গিয়েছে। এছাড়াও, মার্চ মাসে এখনও পর্যন্ত, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে ১৬,৮০০ কোটি টাকারও বেশি তুলে নিয়েছেন। এছাড়াও, আগামী দিনগুলিতেও বাজারের অবস্থা একই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের ক্রমবর্ধমান দাম এভাবে বাড়তে থাকলে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরও কমবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে জ্বালানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম বর্তমানে কার্যত রকেটের চেয়েও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের দাম ১২৮ ডলারে পৌঁছেছে, যা সারা বিশ্বের অর্থনীতি এবং শেয়ার বাজারের জন্য একটি বিরাট বড় ধাক্কা। এর ফলে সমগ্র বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলার পাশাপাশি, ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির হারও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।