বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি এবার শেষ হতে পারে। এদিকে, এর কারণ হিসেবে RBI (Reserve Bank Of India)-র ২,০০০ টাকার নোটের প্রত্যাহারের বিষয়টিকেই তুলে ধরা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে FD-র হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি, আপাতত ব্যাঙ্কগুলিতে লিকুইডিটি ক্রাইসিস শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যাঙ্কগুলি শীঘ্রই FD-তে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
কেন এমন হতে পারে: উল্লেখ্য যে, ব্যাঙ্কগুলির কাছে যখন লোনের চাহিদা বেশি থাকে, তখন তা পূরণ করতে ব্যাঙ্কগুলিকে নগদ অর্থের সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে ব্যাঙ্কগুলি ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি সুদ দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। যাতে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক ব্যাঙ্কে টাকা জমা করেন। এদিকে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলি অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলির কাছে নগদ অর্থের পরিমাণ যথেষ্ট বেড়েছে।
ঠিক এই আবহেই ব্যাঙ্কগুলিতে এখন ২,০০০ টাকার নোট জমা হতে শুরু করলেই ব্যাঙ্কগুলির ডিপোজিটের পরিমাণ আরও বাড়বে। এই প্রসঙ্গে ET-র সাথে কথা বলার সময়, MK Global Financial Services-এর অর্থনীতিবিদ মাধবী অরোরা জানিয়েছেন যে, ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের পরে ব্যাঙ্কের ডিপোজিটের পরিমাণ বাড়বে এবং লিকুইডিটি বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, আরবিএল ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ অচলা জেঠমালানির মতে, এই অর্থের অর্ধেক পরিমাণও যদি এক বছরের জন্য ব্যাঙ্কগুলির কাছে থেকে যায়, সেক্ষেত্রে তারা FD-তে সুদের হার বাড়াতে কোনো তাড়াহুড়ো করবে না। এমতাবস্থায়, ব্যাঙ্কগুলিতে ২,০০০ টাকার আকারে ১.৫ থেকে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা জমা থাকতে পারে।
এছাড়াও, অ্যাক্সিস এএমসি-র একটি তরফে বলা হয়েছে যে, ব্যাঙ্কে আসা নোটগুলির একটি বড় অংশ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের কাছে থাকবে। পাশাপাশি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে ৩ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে ব্যাঙ্কগুলির লিকুইডিটির সমস্যা শেষ হবে।
এই FD-র সুদের হার কমতে পারে: এমন পরিস্থিতিতে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যহারের সিদ্ধান্তের জেরেই সুদের হার কমার ইঙ্গিত মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি বৃদ্ধির কারণে কারণে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হারে একটি নমনীয় ভাব আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শর্ট এবং মিড টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদের হার কমতেও পারে। যা ০.২০ থেকে ০.৩০ শতাংশ পর্যন্ত থাকতে পারে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে বছরের শেষে এই হ্রাস পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।