বাংলাহান্ট ডেস্ক : টিআরপির অভাবে একের পর এক চ্যানেলে বন্ধ হচ্ছে সিরিয়াল (Serial)। মাত্র কয়েক মাস টিকতে না টিকতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলি। নেপথ্যে কারণ মূলত কম টিআরপি। দর্শকরা আগ্রহ না পেলে টিআরপিও উঠছে না। ফলত চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বেশিদিন টানতে চাইছেন না ধারাবাহিক (Serial)। এবার মাত্র তিন মাসেই আরো একটি সিরিয়াল শেষ হচ্ছে জি বাংলায়।
শেষ হতে চলেছে জি বাংলার দুগ্গামণি ও বাঘমামা (Serial)
মাত্র মাস কয়েক আগেই জি বাংলায় পথচলা শুরু করেছিল ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’। দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপটে শুরু হওয়া ধারাবাহিক (Serial) মাত্র তিন মাস হতে না হতেই পাততাড়ি গোটাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি। দুগ্গামণি ওরফে ছোট্ট রাধিকা কর্মকারের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে একটি ছবি ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শেষ শুটের ছবি: দুগ্গামণি ও বাঘমামার প্রায় গোটা টিম ধরা দিয়েছে এক ফ্রেমে। সঙ্গে লেখা, ‘শেষ হল! একসঙ্গে আমাদের সময়টা কম হলেও সুন্দর মুহূর্তে ভরা ছিল যা কখনোই ভোলা যাবে না।’ সঙ্গে ফুগলা, মানালি মনীষা দে, রাহুল দেব বোসকেও পোস্টে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছোট্ট রাধিকা। জানা যাচ্ছে, মাত্র ৬০ পর্ব পূর্ণ করেই শেষ হয়ে যাবে দুগ্গামণি ও বাঘমামা (Serial)।
আরো পড়ুন : পহেলগাঁও কাণ্ডের পরদিনই হাসপাতালে মিষ্টি বিতরণ! ভারত বিদ্বেষের অভিযোগে FIR দায়ের এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে: এত তাড়াতাড়ি কোনো সিরিয়াল শেষ হওয়া সম্ভবত এই প্রথম। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে দুগ্গামণির গল্প? শোনা যাচ্ছে, এর কারণ সেই টিআরপি। শুরুর দিকে গল্পটি দর্শকদের নজর কাড়লেও দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন দর্শকরা। এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকার দিকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে দুগ্গামণি ও বাঘমামা (Serial) অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। শেষ টিআরপি তালিকায় মাত্র ২.৮ নম্বর তুলেছে এই সিরিয়াল (Serial)। যদিও ‘মিঠিঝোরা’র নম্বর আরো কম। তবুও এই সিরিয়ালটিই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা।
আরো পড়ুন ; থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলর! তীব্র বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠল টিটাগড়ের সেই আবাসন, শৌচালয়ে মজুত ছিল বোমা?
এদিকে এত তাড়াতাড়ি সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ায় ট্রোল, কটাক্ষ শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, ‘তিন মাসে শুধু দুর্গা পুজো দেখিয়ে গেলো’। আরেকজন মজা করে লিখেছেন, ‘মহালয়া দিয়ে সিরিয়াল শুরু দশমীতে শেষ’। আবার কয়েকজন দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বাচ্চাটিকে ভিলেন বানিয়েই সর্বনাশ ডেকে এনেছিল দুগ্গামণি নির্মাতারা। শিশুদের এমন নেতিবাচক চরিত্র দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।