বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা বিনোদন সিরিয়ালের হ্যান্ডসাম হিরো সায়ন বসু (Sayan Bose)। বাংলা জুড়ে অগণিত ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে এই সুদর্শন অভিনেতার। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’-এ। প্রথম সিরিয়াল ‘টুম্পা অটোওয়ালি’তে সায়নের (Sayan Bose) অভিনয় গুণে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। তাই প্রথম সিরিয়াল হিট করার পর দ্বিতীয় সিরিয়ালের ডাক পেতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি সায়নকে (Sayan Bose)।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপট সায়ন বসু (Sayan Bose)
প্রথম সিরিয়াল শেষ হতে না হতেই তাঁর সায়ন বসু (Sayan Bose) কাছে সুযোগ আসে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত বাংলা টাকিজ প্রযোজিত ধারাবাহিক, ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’তে অভিনয় করার। এই সিরিয়ালেও মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সায়ন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন ২৮ তারিখ ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ সিরিয়ালের শুটিং শেষ করেন তিনি আর ২৭ তারিখ তাঁর কাছে সুযোগ আসে জি বাংলার ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’তে অভিনয় করার।
প্রথম সিরিয়ালের সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর ছয়-সাত দিনের ছুটি নিয়ে হিমাচল ঘুরতে গিয়েছিলেন সায়ন। আর ঘুরে এসেই ৬ তারিখ বিকেলে তিনি চলে আসেন সিরিয়ালের শুটিংয়ে। আজ অভিনয় করে দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও একটা সময় ছিল যখন সায়নের অভিনয়ে আসার কোন ইচ্ছাই ছিল না। সায়নের কথায়, ‘২০১৮ সালের আগে অভিনয়ে আসার ইচ্ছা ছিল না। আমি ছ বছর কর্পোরেটে ছিলাম। ফাইন্যান্সে কাজ করেছি।, মার্কেটিংয়েও কাজ করেছি। তারপর এমবিএ করার জন্য কলকাতায় ফিরে ক্যাট দিয়েছিলাম। কলেজ শেষ করেই চলে যাই বোম্বে।’
সায়ন জানিয়েছেন ২০১২ থেকে ২২ সালের এই জার্নিতে কারজাত, ভাইজ্যাক, বোম্বে, এবং হায়দরাবাদে ছিলেন সায়ন। তাছাড়া খেলাধুলাতেও বেশ ভালো ছিলেন অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন উছামাধ্যমিকের আগে তিনি মুম্বাইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার জল খেয়ে শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল শাওনের। তাই কলকাতা ফিরে এসে তিনি পড়াশোনায় মন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘মানসিক সুস্থতা কামনা করি…’, বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বার্তায় এ কি বললেন কোয়েল?
বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে চাকরিও করেছিলেন সায়ন। কিন্তু সেখানে তিনি মনের শান্তি খুঁজে পাননি। তাই ২০১৭ সাল নাগাদ ভাইজ্যাক থাকাকালীন থিয়েটারের ব্যাপারে খোঁজ নিতে শুরু করেন অভিনেতা। কিন্তু সেখানে ছিল শুদু তামিল থিয়েটার। সেখানে বেহালা শিখলেও পরে মুম্বাই এসে কাজের পাশাপাশি তিন বছর থিয়েটার করেন অভিনেতা। তারপর লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরে এসে বাবাকে রাজি করিয়ে অনলাইন ক্লাস করেন সায়ন। তারপর ‘লস্ট’ বলে একটি সিনেমায় খুব ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
এটাই ছিল সায়নের অভিনয় জগতে হাতেখড়ি। এরপরেই তাঁর কাছে সুযোগ আসে প্রথম সিরিয়ালে অভিনয় করার। বাংলা সিরিয়ালের এই রোমান্টিক হিরো বাস্তবে খুব একটা রোমান্টিক নন। তবে মনের মানুষ প্রসঙ্গে সায়ান এদিন জানিয়েছেন।, ‘যে আছে সে অনেকদিন ধরেই আছে। সে খুব খুশি। যখন প্রথম সিরিয়াল হয়েছিল সেখানে ছিল সবটা দেখেছে। আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান যদি কেউ হয়ে থাকে সেটা ও। সে আমার ডাই হার্ট ফ্যান। আমি যাই করব সে খুশি।’