বাংলাহান্ট ডেস্ক : দূর্গা পূজার বিসর্জন সারা বাংলা জুড়ে মহা ধুমধাম ভাবে পালিত হয়। সুসজ্জিত শোভাযাত্রা, ঢাকের তালে নাচ, আর দেবী বিবরণ, বিসর্জনের সময় বাংলার এই রূপ দেখে অভ্যস্ত প্রত্যেকটি বাঙালি। বিসর্জনের সময় বহু বিদেশি পর্যটকও আসেন এই অভিজ্ঞতা চাক্ষুষ করতে। কিন্তু এই বছর লন্ডনের টেমস নদী যেন হয়ে উঠল এক ছোট্ট গঙ্গা। লন্ডন হয়ে উঠলো “বিদেশের কলকাতা”।
কলকাতা লন্ডন হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক প্রচুর, কিন্তু এই বছর বিসর্জনের দিন লন্ডনের বুকে বাঙালিরা যে এক টুকরো কলকাতাকে খুঁজে পেয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য। দুর্গাপূজার বিসর্জনের কার্নিভালে লন্ডনের বুকে দেখা গেল এমনই ছবি। লন্ডনের টেমস নদীর বুকে ঘুরে বেরোলো সুসজ্জিত বোট। ঢাকের তালে পা মেলালেন সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা।
কলকাতায় যেদিন বিসর্জন কার্নিভাল আয়োজন করা হয়, সেই দিনই লন্ডনে প্রথমবারের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল দুর্গাপূজো কার্নিভালের। তবে সেখানে নদীতে ঠাকুরকে বিসর্জন দেওয়া হয়নি শুধু। আনন্দ সহকারে রীতিনীতি মেনে ফের ঠাকুরকে ফিরিয়ে আনা হয় মন্ডপে। হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবালের (Heritage Bengal Global) উদ্যোগে লন্ডনের বুকে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হলো পুজো কার্নিভাল।
লন্ডনের বুকে হওয়া বেশ কিছু দুর্গাপূজা কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নেয়। বার্মিংহাম, পিটারবার্গের বেশ কিছু পুজোও শামিল হয়েছিল এই উৎসবে। কলকাতার ৭৫ পল্লি, বাগবাজারের প্রতিমার কাট আউট দিয়ে টেমস নদীর উপর সুসজ্জিত বোট সাজানো হয়েছিল। এই বোট গুলিতে উপস্থিত ছিলেন বহু প্রবাসী বাঙালি। ঢাকের বাজনার সাথে তারা রীতিমতো মন খুলে নাচানাচিও করলেন।
কার্নিভালের উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এই উৎসব মূলত কলকাতা ও লন্ডনের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার জন্য। হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবালের ডিরেক্টর অনির্বাণ কুমার মুখোপাধ্যায় জানান, “প্রথম বছরই সাফল্যের সাথে আমরা এই কার্নিভাল করতে পেরেছি। প্রবাসী বাঙালিরা খুবই আনন্দিত হয়েছেন। পরের বছরের কার্নিভালের জন্য ইতিমধ্যেই আমরা ফের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।”