বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলছে উৎসবের মরশুম। চারদিকে সাজো সাজো রব। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে আট থেকে আশি। কিন্তু তার মধ্যেই বাধ সেধেছে বৃষ্টি। ষষ্ঠীর বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। আর তাতেই যেমন জলমগ্ন হয়েছে কিছু কিছু এলাকা ঠিক তেমনি ঝড় বৃষ্টিতে মণ্ডপ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কিছু কিছু জায়গায়। শর্ট সার্কিটেরও ভয় ছিল। তবুও পুজো পরিক্রমায় ভাটা পড়েনি দর্শনার্থীদের। সব বাধা পেরিয়ে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন থেকে অষ্টমীর দিন সকালে অঞ্জলি দিতেও মানুষের ঢল নেমেছিল মণ্ডপ গুলিতে ।
আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের কদমতলা পাতিলাভাসার সার্বজনীন এ অষ্টমীর সকালে ঝড় বৃষ্টিতে এবং অঞ্জলী দিতে আসা মানুষের ভিড়ে হুড় মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো সমগ্র মণ্ডপ। মণ্ডপ ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিমা। পুজোর সমস্ত আয়োজন হয়ে গেছে লন্ডভন্ড। নিজেদের সাধের পুজোর এই দুর্দশা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
সমগ্র মণ্ডপ এইটুকু বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ার সমস্ত দায় বিধায়ক হগেশ্বর রায় চাপিয়ে দিয়েছেন মণ্ডপ নির্মাতাদের উপর। সবাই আশঙ্কা করেছিল কেউ মণ্ডপের নিচে চাপা পড়ে গেছেন কিনা। কিন্তু স্থানীয় সূত্রের খবর দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ আহত হলেও কেউ চাপা পড়েনি মন্ডপের নিচে। তবে এই অভাবনীয় দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত সমগ্র এলাকাবাসী।
রায়গঞ্জের এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা হলেন সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তার সাধের মণ্ডপ ভেঙে পড়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছেন, ” আমার সমগ্র জীবনে এই প্রথম এরকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সম্মুখীন হলাম। খুঁটি ভেঙে গুড় মুড়িয়ে চোখের সামনে ভেঙে পড়লো পুরো মণ্ডপটা। আজ অষ্টমী। আমার এত খারাপ লাগছে বলার মত নয় । চোখে জল চলে আসছে আমার।”
প্যান্ডেল নির্মাতাদের কাজে ত্রুটি ছিল বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এর আগেও বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি , মালদা সহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছিল আলোর গেট । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যান চলাচল। কিন্তু পুরো মণ্ডপ ভেঙে পড়বে এমনটা ভাবতেও পারেননি কেউ। রায়গঞ্জে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় বিষাদের ছায়া নেমেছে এলাকাবাসীর মনে। তবে মণ্ডপ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে এবং খুব তাড়াতাড়ি আবার সেজে উঠবে মন্ডপ এই আশায় আশাবাদী পুজোর আয়োজকেরা।