বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। তবে আরজি কর কাণ্ডের আবহে সেই চেনা উন্মাদনা যেন চোখে পড়ছে না। প্রতিবাদের আবহে অনেকেই উৎসবে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন, প্রতিবাদ-উৎসব দুই-ই চলবে। দত্তপুকুরের কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দের মহিলারা যেমন রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকায় মায়ের আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকায় দুর্গাপুজো
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয়তম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। একুশের বিধানসভা ভোটের পর এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। বিগত তিন বছরে এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেয় সরকার (Government of West Bengal)। এবার এই টাকা দিয়েই দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দত্তপুকুরের কালাচাঁদ পাড়ায় প্রায় ২৫০০ মানুষ থাকেন। বহু বছর ধরে এই পাড়ায় একটি দুর্গাপুজো (Durga Puja) হয়। তবে এই বছর পাড়ার মহিলারা একটি পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমে পাড়ার কয়েকজন মহিলা মিলে এই উদ্যোগ নিলেও পরে আস্তে আস্তে অনেকে যোগ দেন। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জন।
আরও পড়ুনঃ সারপ্রাইস! পুজোর আগেই দুর্দান্ত কর্মসূচি অভিষেকের, সাধারণ মানুষের মুখে ফুটবে হাসি
জানা যাচ্ছে, আলোচনার শুরুর দিকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকায় দুর্গাপুজো করার কথা ভেবেছিলেন কালাচাঁদ পাড়ার মহিলারা। এরপর প্রত্যেকে সেই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকায় এবার উমার আরাধনা করবেন তাঁরা। ইতিমধ্যে চলতি মাসের টাকা দিয়ে অনেকে পুজোর তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। বাকিরা টাকা পেলেই দিয়ে দেবেন বলে পুজো কমিটিকে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদিকা নন্দিতা সিকদার বলেন, আমরা ৭০ জন মিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) এক মাসের টাকা দিয়ে প্রথম বছরের দুর্গাপুজো করব বলে ঠিক করেছি। পুজোর ব্যবস্থাপনায় সব মহিলারাই রয়েছি। মা দুর্গার ডাকের সাজ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় অনেকেই উৎসবে শামিল না হওয়ার কথা বলেছেন। তবে কালাচাঁদ পাড়ার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় উমার আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদিকা বলেন, ‘আমরা পুজো কমিটির মহিলারাও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গেই উৎসবও করছি। কারণ অনেক মানুষ রোজগারের আশায় দুর্গাপুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন’।