বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে দুর্গোৎসব। তবে এপার বাংলায় দুর্গোৎসব নিয়ে আনন্দ উত্তেজনা থাকলেও ওপার বাংলায় (Bangladesh) দুর্গোৎসব নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, আতঙ্ক। একেই ওপার বাংলায় পুজো হবে কিনা এই নিয়েই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনার শাসনকাল শেষ হবার পর থেকে পড়শী দেশে বেড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার। তবে পুজো যে হবে এ বিষয় আশ্বস্ত করেছিলেন ইউনূস সরকার। কিন্তু তারপরও যে সমস্ত প্রতিচ্ছবি উঠে আসছে তাতে ফের প্রশ্ন উঠেছে আদৌ সুষ্ঠুভাবে পুজো হবে তো?
বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গার বোধন হবে তো?
সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হুমকি তো চলছেই। তার উপর সামনে এসেছে আরো বিরাট খবর। এই উৎসবের মাঝেও ছুটির বিপক্ষে সরব হয়েছেন ওপার বাংলার (Bangladesh) কট্টরপন্থীরা। এমনকি ঢাকার সেক্টর ১৩-তে দুর্গাপুজো উদযাপনের জন্য খোলা মাঠ ব্যবহারেরও বিরোধিতা করা হচ্ছে। যে মাঠে বহু বছর ধরে পূজো হয়ে আসছে সেখানেও সমস্যা। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ইনসাফ কেমকারি ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন পুজো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারাই এই মাঠ ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন।
আরোও পড়ুন : বছরে একবার হলেও করান এই টেস্ট, এড়ানো যাবে বড় বড় রোগ! শরীরে বাসা বাঁধার আগেই হন সাবধান
তথ্য সূত্র জানা গিয়েছে, এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে বিরোধিতা করতে নামেন বিরোধীরা। বাংলায় প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “রাস্তা বন্ধ করে কোথাও পুজো নয়, প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে জল দূষণ নয়, প্রতিমা পুজো নয়”। দলটি এদিন ১৬ দফার দাবিও পেশ করে। যা পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ উল্লেখ করে পুজো বন্ধ এবং প্রতিমা বিসর্জনের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে। তাদের এই দাবির মধ্যে দুর্গাপুজোর (Durgapuja) জন্য রাস্তা বন্ধ, এমনকি উৎসবের জন্য সরকারি তহবিল ব্যবহারের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত।
দুর্গাপূজার সময় ছুটি বাতিলের নির্দেশ:
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইনসাফ কেমকারি ছাত্র-জনতার যুক্তি, যেহেতু তাদের দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা ২% এরও কম। তাই দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে (Bangladesh) কোন ছুটি থাকবে না। তাদের মতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হচ্ছে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠদের দেশ, এতে করে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।
আরোও পড়ুন : মহালয়ায় ফের ঝেঁপে বৃষ্টি? দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
এখানেই শেষ নয় রয়েছে আরো বড় দাবি:
তারা দুর্গা পুজো নিয়ে আরো দাবি করছেন, ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে কোনও মুসলমানকে হিন্দু উৎসবকে সমর্থন করা উচিত নয়। তাদের মতে “বাংলাদেশের অনেক বিশেষ জমি দখল করে নির্মিত” তাই মন্দির অপসারণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি কিছুদিন আগেই, দুর্গাপূজার সময় পাঁচ লক্ষ টাকার দাবি করা হয়। তার উপর হুমকি, হুশিয়ারি স্বাভাবিকভাবেই মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। ইউনুস সরকার আশ্বস্ত করলেও দিনের পর দিন হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হিন্দু মন্দির ভাঙ্গার মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে। তার উপর এই পুজো নিয়ে এমন ফতেয়া জারি করা হয় , যা হিন্দুদেরকে কোণঠাসা করে দিয়েছে।