বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহের মধ্যেও এবছর দূর্গাপুজো (Durga puja) হবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। তবে এই দূর্গাপুজোর বিভিন্ন বিধি নিষেধ নিয়ে সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্টকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে পৌঁছেছিল। এবার এই দূর্গাপুজো নিয়েই আবারও এক নতুন নির্দেশিকা জারী করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
পুজো নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতি বছর দূর্গাপুজো নিয়ে নেতাজি ইনডোরে সমস্ত পুজো কমিটিদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, কিন্তু এবছর সেই মিটিং এখনও করা হয়নি। তবে আগামী ২৫ শে সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠক হবার আগেই সোমবার নবান্ন থেকে পুজো নিয়ে এক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
উপস্থিত ছিলেন
নবান্নের এই বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার মুখোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জেভি আর প্রসাদর রাও, রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা ও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকলের উপস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী করলেন এক বড় ঘোষণা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
এবছর দূর্গাপুজোতে প্যাণ্ডেল খোলা রাখতে হবে। খোলা মেলা ফাঁকা ভাবেই প্যান্ডেল তৈরি করতে হবে, যাতে জীবাণু সেখানে থাকলেও তা বেরিয়ে যায়- এমনটাই সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পুজো প্যাণ্ডেলের ভেতরে শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখলেই চলবে না, প্যান্ডেল খলামেলা ভাবে তৈরি করতে হবে। যাতে হাওয়া বাতাস খেলতে পারে। মানুষের শ্বাস নিতে সুবিধে হবে। আর যদি সেখানে জীবাণু থাকে, তাহলে খোলা মেলা থাকলে তা বেরিয়েও যাবে’।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেও দূর্গাপুজোকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই খোলামেলা ভাবে প্যান্ডেল তৈরির এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গোটা প্যান্ডেল খোলা থাকবে না। প্রতিমা যেখানে থাকছে, সেই জায়গাটা ঢাকা থাকবে। তবে যেখানে মানুষের সমাগম হবে, মানুষজন দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দেবে এমনকি লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিমা দর্শনে করবেন- সেইসকল জায়গার প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে।