সনাতন গরাই,দুর্গাপুর: ডায়রিয়ার মূল কারণ জল এমনিতেই বর্ষাকাল তার উপর কুয়োর জল।দুর্গাপুরের কমলপুর এলাকায় হটাৎই কিছুদিন আগে থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে ওই এলাকার কিছু মানুষ,তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও থাকে।সময় যত এগোতে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা ততোই বাড়তে থাকে।প্রথমদিকে ডায়রিয়ার আক্রান্ত মানুষজনের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাদের ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
তাদের শরীরে ডায়রিয়ার জীবাণু এতটাই প্রবেশ করেছিল চিকিৎসা করিয়েও কাজে আসেনি যার ফলে মৃত্যু হয় এক শিশু সহ দুইজনের।আর এই মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আরো বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে ওই এলাকার মানুষ।মৃত দুইজন কার্তিক ভূঁইয়া(৩৪),সঙ্গীতা ভুঁইয়া(১৫)।রবিবার পযন্ত ওই এলাকার একাধিক বাচ্চা থেকে বুড়ো একাধিক মানুষের পায়খানা,বমি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ চিন্তায় পড়ে যায়।ওই এলাকার সমস্ত মানুষই পাথর কেটে সংসার চালায়, আর এই ডায়রিয়া তাদের চোখে অন্য মহামারির রূপ ধারণ করেছে।
এইরকম অবস্থার কথা শুনে ছুটে আসেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বান কোলে,তৃনমুল নেতা উত্তম মুখার্জী,ওই এলাকার কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত।তারা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন।তৃনমুল নেতা উত্তম মুখার্জী মিশন হাসপাতালের ডাক্তারদের সহযোগিতায় ওই এলাকায় অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র করে চিকিৎসা শুরু করা হয় ও বিশুদ্ধ জল দেওয়া শুরু করে।অপরদিকে মহকুমাশাসক অনির্বান কোলে জানান কি কারণে ওই দুইজনের মৃত্যু হলো মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছি।মহকুমাশাসক জানান সোমবার থেকে ওই এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য শিবির শুরু হবে।
ওই এলাকার কাউন্সিলর জানান অনেক নিচু এলাকা হওয়ায় পাইপলাইন বসানো যায় নি,পরবর্তীকালে অন্যভাবে বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে।চিকিৎসকরা জানান মূলত জল থেকেই এইধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে,প্রথমধাপের আক্রান্ত রোগীদের ফোটানো জল সাথে নুন চিনি মিশিয়ে খাওয়ালে অনেকটা উপকারিতা পাওয়া যায়।