বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর্জেন্টিনা মোট ছয় বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে। ১৯৭৮, ১৯৮৬ এবং সদ্যসমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপে তারা বিশ্বজয়ের খেতাব নিজেদের দখলে আনতে পেরেছিল। কিন্তু ফাইনালে উঠেও তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ১৯৩০, ১৯৯০ এবং ২০১৪ সালে। বিশেষ করে ২০১৪ বিশ্বকাপের হার মুড ভেঙ্গে দিয়েছিল অনেক আর্জেন্টিনার ভক্তদের। কারণ সেবার বিশ্বকাপ জিততে পারলে ব্রাজিলের ডেরায় বিশ্বকাপ জয়ের মতো গৌরব অর্জন করতে পারতেন লিওনেল মেসিরা।
সেই ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে কিছুটা অবদান ছিল ইস্টবেঙ্গলেরও। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে ব্রাজিলের মাটিতে আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে কিছুটা ইস্টবেঙ্গল যোগ ছিল। সেই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়ার কোচিং স্টাফের অংশ ছিলেন জুলিয়ান ক্যামিনো যিনি ৩ বছর কলকাতার মাটিতে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ফুটবল খেলে গিয়েছেন।
ক্যামিনো ১৯৮৩ সালের আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া দলের অংশ ছিলেন। তার পরের বছরই নেহেরু কাপে অংশগ্রহণকারী আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের অংশ হিসেবে তিনি ভারতে পা রেখেছিলেন। তার চার বছর পরে তিনি ফের একবার ভারতের মাটিতে পা রাখেন এবং পিকে ব্যানার্জির কোচিংয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল দলের অংশ হয়ে ১৯৯০ অবধি খেলে যান।
এই তিন বছরে ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড কাপ, রোভার্স কাপ, দুটি কলকাতা লিগ, এবং আইএফএ শিল্ডও জিতেছিল। আদতে ক্যামিনো একজন রাইট ব্যাক হলেও তার অসাধারণ বল কন্ট্রোল দেখে ইস্টবেঙ্গলে তাকে মূলত মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে তিনি এরপর ইজরায়েল এবং আর্জেন্টিনার লিগে ফুটবল খেলেছেন।
২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার কোচিং স্টাফ হিসেবে মেসির সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ক্যামিনোর। চলতি কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বকাপ হলো সবচেয়ে সুন্দর এবং অর্জন করায় সবচেয়ে কঠিন একটি বস্তু।” আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা প্রবল এই কথা বলে তিনি মেসির সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছিলেন, “মেসি আমাদের সবাইকে আগলে রাখত। যখন আমাদের প্রথম মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা তখনও বিশ্বের সেরা ফুটবলার পরিণত হয়ে গেছে। আমরা জানতাম না যে ও’র সঙ্গে কিভাবে কথা বলা উচিত কিন্তু ও পরিস্থিতি খুব সহজ করে তুলেছিল নিজের ব্যবহারের মাধ্যমে। সব সময় অনুশীলনে অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ব্যাপারে বিশ্বাসই ছিল মেসি।”