‘মুখ্যমন্ত্রী কেঁদে-কেঁদে বলেছেন যে কেন ধর্মঘট করছেন’, ফের সুর চড়ালেন ডিএ আন্দোলনকারীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহার্ঘ ভাতাকে (Dearness Allowance) কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশনাররা বেশ কিছুদিন ধরেই রীতিমতো আন্দোলন নেমেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে বিক্ষোভ দেখানোর পর এবার যেন আরোও খানিকটা সুর চড়ালেন তারা। ডিএ আন্দোলনের মাঝেই ১০ সরকারি কর্মচারীকে বদলি করতেই সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ব্রিটিশ শাসনের ‘ঐতিহ্য’-র সঙ্গে তুলনা করা হল।

শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার কর্তৃক এই ট্রান্সফারের ঘটনাকে তারা ‘মন ভিজিয়ে’ দেওয়া বলেও উল্লেখ করেন। নবান্নের তরফে বিষয়টিকে ‘রুটিন বদলি’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হলেও সেকথা মানতে নারাজ সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মচারীদের দাবি, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা কোনও না কোনও সময় ডিএ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, গত ১০ মার্চ যে ডিএ ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল তার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এই ১০ জন সরকারি কর্মচারী। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করার জন্যেই তাদের উপর বদলির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে, রাজ্য সরকার এই ১০ জনকে বদলি করতেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা অচলাবস্থা তৈরি করেননি বলেই আন্দোলনকারীদের মত।

dearness allowance protest

সেই পরিস্থিতিতে ডিএ আন্দোলনের এক নেতা বলেন, “রাজ্য সরকার যে ডিটেলমেন্ট অর্ডার জারি করেছে, তা আদতে ব্রিটিশ ঐতিহ্য বহন করছে। ব্রিটিশ আমলে যখন কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতেন, তখন তাঁদের বদলি করে দেওয়া হত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ব্রিটিশদের ঐতিহ্য মেনে কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভাষাটাও ব্রিটিশ সরকারের থেকে ধার করা হয়েছে। ব্রিটিশ উত্তরাধিকার বহন করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর