জগদ্ধাত্রী পুজোয় দশমিতে অন্ধকারে ডুববে আলোর শহর চন্দননগর, সকাল থেকেই থাকবে বিদ্যুৎ বন্ধ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জগদ্ধাত্রী পূজার অন্যতম পীঠস্থান হল চন্দননগর (Chandannagar)। শুধু সেখানকার পূজার জন্যই নয় বরং চন্দননগর বিখ্যাত সেখানকার আলোকসজ্জার জন্য। দলে দলে দূর দূরান্তের মানুষ আলোর পোকার মতো অমোঘ আকর্ষণে এই সময় চন্দননগরে বেড়াতে যায় সেই আলোকসজ্জা দেখার জন্যই। কিন্তু সেই আলোর শহর এবারে দশমীর দিনেই ডুবে থাকবে অন্ধকারে। অর্থাৎ দশমীতে চন্দননগরে থাকবে পুরোপুরি লোডশেডিং। তবে তা থাকবে দিনের বেলা। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মোট আট ঘণ্টা সেখানে থাকবে পাওয়ার কাট।

চলতি সপ্তাহে শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুত দফতরের মুখ্য আধিকারিকেরা বৈঠকে বসেন চন্দননগরের জ্যোতিরিন্দ্র সভাগৃহে। সেখানে তারা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন । এবং তাতেই তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ এর লোড এর সাম্যতা রাখতে দিনের বেলা থাকবে পাওয়ার কাট ও সেই বিদ্যুৎ রাতে সরবরাহ করা হবে। বৈঠকের পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ঘোষণা করেন দশমীর দিন দিনের বেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দন নগর।

উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালেই প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পূজার সময়ে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে দশমীতে বিদুৎ সরবরাহ বজায় রাখা হবে । সেই জন্য এই খাতে ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদিত করেছিলেন রাজ্য সরকার।রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরো জানান , চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে কিংবা আগামী বছর জানুয়ারী থেকেই কাজ শুরু হবে । ফলে আগামী বছর জগদ্ধাত্রী পূজায় কোনো রকম বিদ্যুৎ এর সমস্যা ঘটবে না।

jpg 20221028 183432 0000

বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন , “২০১১ তে চন্দন নগরে ১৪৫ টি কমিটি পুজোর আবেদন করেছিল যা বর্তমানে অর্থাৎ ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২২১। অর্থাৎ এই বছর পুজোর আবেদন করেছেন ২২১ টি পূজা কমিটি। প্রায় ৫২ % বেড়েছে পুজো। এর ফলে ২০১১ তে বিদ্যুতের লোড , যা ছিল মাত্র ২.৭২ মেগা ওয়াট , তা বেড়ে হয়েছে ৭.৮ মেগাওয়াট। গত বছর এই লোড ছিল সর্বোচ্চ ৩৮.৯৬ মেগাওয়াট। বর্তমানে তাই প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর