বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে গোটা দেশ। মন্ত্রী আমলা থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা চারিদিকে দুর্নীতির ছায়া স্পষ্ট। বিশেষ করে সম্প্রতি নিট (NEET) ও ইউজিসি নেট (UGC NET) পরীক্ষার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিএসআইয়ের ইউজিসি নেট পরীক্ষা।
সর্বভারতীয় পরীক্ষাতেও যে এইভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে তা দেখে কার্যত হতবাক গোটা দেশের শিক্ষকমহল। যা নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। আর এই নিট-নেট বিতর্কের মাঝেই শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হলো এক বিরাট পদক্ষেপ। প্রশ্নপত্র ফাঁস কান্ডের জেরে বিতর্ক ক্রমশ বাড়তে থাকায়, তড়িঘড়ি কড়া আইন লাগু করল কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই আইন পাস হলেও শুক্রবার এই আইনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিন পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ কার্যকর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে কেন্দ্রের এই নতুন আইন আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে। প্রসঙ্গত, এই নিট দুর্নীতি ও নেট পরীক্ষা বাতিল প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) দিন দুয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, আইন মন্ত্রক এই আইনের নিয়ম তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: রোগী-চিকিৎসকের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকবে! NEET প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে মুখর SSKM-র চিকিৎসক
প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই নতুন আইনে বলা হয়েছে কেউ যদি এক বা একাধিক ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তাহলে তার ন্যূনতম ৩ বছরের জেল হবে। তবে শাস্তি বেড়ে সর্বাধিক ৫ বছরের জেলসহ ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও হতে পারে। উত্তরপত্রে কোনো পরিবর্তন করা হলেও সেক্ষেত্রে একই সাজা দেওয়া হবে। আর এক্ষত্রে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে।
এছাড়াও কোনো পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা জালিয়াতি সম্পর্কে জেনেও কোনো রিপোর্ট না করেন,তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের ১ কোটি টাকা জরিমানা সহ ১০ বছর জেল হতে পারে।। এছাড়াও তদন্তের সময় কোনও আধিকারিক যদি অপরাধে যুক্ত থাকেন তাহলে তার ন্যূনতম ৩ বছরের জেল হবে। এমনকি সর্বাধিক ১০ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হতে পারে।