লকডাউনের সময়ে পুনের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী দায়িত্ব নিল প্রায় ১.৯ লক্ষ পরিবারের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) লকডাউনের কারণে সামাজিক দূরত্ব এবং স্ব-বিচ্ছিন্নতা সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। এই সময় সমস্যায় পড়েছেন বহু বৃদ্ধ মানুষজন। যারা বাড়িতে একলা থাকেন, বাড়িতে অন্য কেউ সাহায্য করবার মতো নেই, সেই সকল ব্যক্তিরা এই সময় প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এই সময় মহারাষ্ট্রের পুনের (Pune) বেশকিছু বৃদ্ধ এবং নিঃসঙ্গ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রঞ্জনা হলকার, স্নেহা , প্রতীক, পরিতোষের মতো কিছু যুবক যুবতীরা।

india 333

এই স্নগকটকালে মহারাষ্ট্রের প্রায় ১.৯ লক্ষ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। বিপদে আপদে তাঁদের সাহায্য করছে। একসময় তারা যে মোবাইল শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করত, আজ তারা সেই মবাইল মানুষজনের সেবার কাজে ব্যবহার করছে। তারা তাঁদের এলাকার বেশ কিছু প্রবীণ বৃদ্ধ নাগরিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের প্রয়োজনে রিচার্জ করে দেওয়া, সবজি এনে দেওয়া, ওষুধ এনে দেওয়া ইত্যাদি আরও কাজ তারা করছে।

স্নেহা জানান, ‘আমাদের এলাকায় সর্বদা একটি পুলিশ টহল ভ্যান থাকে। দোকানগুলোও শুধু দিনের বেলায় খোলা থাকে। তাই আমি আমাদের এলাকার প্রায় ১৫ টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে, তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান দিয়ে আসি’। আরও স্বেচ্ছাসেবক প্রতীক গায়কওয়াদ জানায়, তিনি প্রথমে ১০ টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলনে, এবং পরবর্তীতে আরও ৫ টি পরিবারের দায়িত্ব তিনি নেন।

india 222

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পুনে ছাড়াও মূলত আহমেদনগর ও নাসিকে কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের জন্য মুদিখানার জিনিস, ওষুধ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়ে সাহায্য করছে। প্রায় ১৯০০০ শিক্ষার্থী রক্ত দান করার জন্যও প্রস্তুত হয়েছে। তারা হাতে বানিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ মাস্কও বিলি করেছে এই মানুষজনের মধ্যে। বর্তমানে তারা তাঁদের এই কাজ একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিস্তার করে অন্যান্যদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করছে। বর্তমানে প্রায় ২০-২৫ হাজার শিক্ষার্থী এখন তাঁদের এই সংস্থার সাথে কাজ করছে। তাঁদের এই কাজের জন্য বর্তমানে প্রায় ১.৯ লক্ষ পরিবার রাতে নিশ্চিন্তভাবে ঘুমাতে পারছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর