বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ সক্রিয়ভাবে মাঠে লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী(Mamata Banerjee)। করোনাভাইরাসের জন্য ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন (lockdown) ঘোষণা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার। ১৫ই এপ্রিলের পর থেকেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। আগামী শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগেই লকডাউনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি রাজ্য। বাংলাও পিছিয়ে নেই। এর মধ্যেই চা বাগান-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
দীর্ঘ দিনের লকডাউনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চা বাগান খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনের জন্য ট্যাক্সি ব্যবহারেও ছাড় দিয়েছেন তিনি। হোম ডেলিভারিতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিল্পপতি এবং বনিকসভার সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)।
চা বাগানের কাজও চালু করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, দূরত্ব বজায় রেখে অন্তত ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হোক। নাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তবে সেখানে স্যানিটাইজিং মাস্ট। তাঁর এই ঘোষণার পর রাইস মিল চালু করার আবেদন জানান চালকল মালিকরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে পর্যাপ্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রয়েছে। তবে যা আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় সঠিক কি না, তা নিয়ে সংশয় হওয়ায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন যে বেঙ্গল কেমিক্যালসের পরিকাঠামো ব্যবহার করে ওষুধ তৈরির উদ্যোগ নিতে। এদিন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টা বারোজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, যার জেরে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৩। তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃ্ত্যু হয়েছে ৫ জনের। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এই মুহূর্তে ৫৬২টি। সেই সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
জরুরি পরিষেবা চালু রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্ব নিতে মমতা ব্যানার্জী অনুরোধ করেছেন কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে। চা বাগানগুলিতে ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখানেও স্যানিটাইজিং-এর ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাইস মিলগুলিকেও চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)।