বউ প্রসেনজিতের সহকারী, হানিমুনও চোখ ধাঁধানো! ফাঁস মোহর-দুর্নিবারের মধুচন্দ্রিমা লোকেশন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু বছরের মধ্যে দুটো বিয়ে। আর তার জেরেই লাগাতার সমালোচনার শিকার গায়ক দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha)। প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লিভ ইন, বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিচ্ছেদ। তারপর আবার মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেনের (Oindrila Sen) প্রেমে পড়েই তাঁকে বিয়ে। দুর্নিবারের কাণ্ড দেখে তাঁকে ‘চরিত্রহীন’ বলতেও দ্বিধাবোধ করেননি নিন্দুকরা।

কিছুদিন আগেই ধুমধাম করে দ্বিতীয় বিয়ে সেরেছেন দুর্নিবার। স্ত্রী মোহর সরাসরি অভিনয় বা সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত না হলেও যথেষ্ট প্রভাবশালী একজন মানুষ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সহকারী তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মোহর দুর্নিবারের বিয়ে উপলক্ষে ঢল নেমেছিল তারকাদের। তুলনায় বউভাতে দুর্নিবারের দিকে তেমন পরিচিত মুখের দেখা মেলেনি। অনেকে যেন সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন অনুষ্ঠান।

কারণ মোহরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা স্বীকার করা ইস্তক ট্রোল হয়ে চলেছেন দুর্নিবার। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ছিছিক্কার ওঠে নেটপাড়ায়। কিন্তু গায়ক মুখ বুজে থাকেননি। পালটা উত্তর দিয়েছেন ট্রোলারদের। আর এবার নিন্দুকদের মুখের উপর দিয়েই মোহরকে নিয়ে হানিমুনে উড়ে যেতে চলেছেন গায়ক।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দুর্নিবার জানান, এ দেশে নয়, বাইরের কোনো এক ‘এক্সোটিক’ লোকেশনে হানিমুন করবেন তাঁরা। এক্ষেত্রে দুজনেরই পছন্দ সমুদ্র। এক নির্জন দ্বীপে একান্তে সময় কাটাবেন দুর্নিবার মোহর। এই সময়টা তাঁদের একার। কোনো নেতিবাচকতাকে প্রশ্রয় দিতে রাজি নন তাঁরা।

মীনাক্ষীর সঙ্গে দুর্নিবারের সম্পর্কটাও প্রেমঘটিত। শোনা যায়, সারেগামাপাতে দুর্নিবারের গানে মুগ্ধ হয়ে প্রথম পদক্ষেপটা নিয়েছিলেন মীনাক্ষীই। আইনি বিয়ে সেরে একত্রে থাকছিলেন দুজনে। কিন্তু সামাজিক ভাবে বিয়ে করার এক বছরের মধ্যেই ভাঙন ধরে তাঁদের সংসারে। পরবর্তীতে অনেকে বলেছিলেন, মোহরের জন্যই আলাদা হয়ে গিয়েছেন দুর্নিবার মীনাক্ষী।

যদিও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে গায়ক দাবি করেন, মোহরের কোনো দোষ নেই। মীনাক্ষীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই তাঁরা সম্পর্ক শুরু করেন। তাঁরা একসঙ্গে ভাল আছেন। আর নেতিবাচকতাকে কীভাবে সামলাতে হয় সেটাও তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন বলে মন্তব্য করেন দুর্নিবার।