ফের ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা? আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন চেয়ারম্যান

Last Updated:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ছাড়া হতে পারে জল। আবারও প্লাবিত হতে পারে হাওড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমানের মতো অঞ্চল। সম্প্রতি এমনি আশঙ্কার কথা জানান খোদ ডিভিসি (DVC) চেয়ারম্যান সুদেশ কুমার। শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে জল ছাড়তে বাধ্য হবে ডিভিসি। সেক্ষেত্রে আবারও বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চেয়ারম্যান।

আবারও জল ছাড়া হতে পারে ডিভিসি (DVC) থেকে

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিভিসির (DVC) চেয়ারম্যান বলেন, গত ২৬ এপ্রিল মুখ্য সচিব এবং ২৯ মে সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর। সেখানে জল ছাড়ার বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। সঙ্গে তিনি ইও জানান, ডিভিসি (DVC) যাতে একবারে ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। গত বার থেকেই এই জল ছাড়ার বিষয়টা ডিভিসি মেনে চলার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আর ৫০ হাজার কিউসেকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডিভিসি চেয়ারম্যান।

DVC chairman said this about water release

কী জানালেন সুদেশ: গত বছর ঝাড়খন্ডের পরিস্থিতির কথাই আরো এক স্মরণ করান সুদেশ। গত বছর শেষলগ্নে ঝাড়খন্ডে গভীর নিম্নচাপের জেরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সে সময়ে বাধ্য হয়ে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল ডিভিসি (DVC)। এ নিয়ে দেখা গিয়েছিল সংঘাতও। সেকথা স্মরণ করিয়েও চেয়ারম্যান বলেন, সেবারে রাজ্য সরকারের তরফে তাদের দিকে অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাতের জেরে তাদের জল না ছেড়ে উপায় ছিল না বলে মন্তব্য করেন ডিভিসি চেয়ারম্যান।

আরো পড়ুন : ‘রেল নীর’ বেচেই মালামাল! চলতি অর্থবর্ষে কত কোটি টাকা আয় করল ভারতীয় রেল?

পলি উত্তোলনে সমস্যা: তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বারবার পলি উত্তোলনের প্রসঙ্গ তোলেন। তা যে একেবারে ভুল সে কথা তিনি বলছেন না। তবে সুদেশের কথায়, পরি উত্তোলন নিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জটিলতা রয়েছে তাদের। তাই তা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন : ‘সিঁদুর বেচতে এসেছেন’, মমতার কটাক্ষে তুঙ্গে বিতর্ক, পালটা মহিলা পুলিশদের সিঁদুর পরিয়ে ছাড়লেন বিজেপি কর্মীরা!

ডিভিসি চেয়ারম্যান বলেন, সঠিকভাবে পলি উত্তোলন না করার জেরে ডিভিসির (DVC) নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে প্রায় ৩৪-৩৬ শতাংশ। এতেই বাড়ছে সমস্যা। তবে চেয়ারম্যান জানান, বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর নতুন করে আবার পলি তোলার কাজে জোর দেওয়া হবে।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X