বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dy Chandrachud) কর্মজীবনের শেষ দিন। বিদায়ী ভাষণে এদিন বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। এদিন সেরিমোনিয়াল বেঞ্চের আইনজীবীদের মধ্যে কপালে হাত রেখে সবাইকে প্রণাম করেই প্রধান বিচারপতি (Dy Chandrachud) বলে ওঠেন ‘কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন’।
ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dy Chandrachud) বিদায়ী ভাষণ
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁকে বিদায়ী সম্বর্ধনা জানানো হয়েছে। এদিন সেরিমনিয়াল বেঞ্চের আইনজীবীদের মাঝে কপালে হাত রেখে সবাইকে প্রণাম করেন প্রধান বিচারপতি । তারপরেই সকলের উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন, ‘কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।’ এদিন বিদায়ী প্রধান বিচারপতির সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিব্বল।
বিদায়ী ভাষণে এদিন প্রধান বিচারপতি বলে ওঠন, ‘এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে চালনা করে। এমন মানুষদের সঙ্গে অহরহ দেখা হয়, যাঁদের চিনিই না। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। বুঝেছি, কোনও মামলাই আগের মামলার মতো নয়। যদি কখনও আঘাত দিয়ে থাকি ক্ষমা করবেন। বিপুল উপস্থিতির জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন : ‘গেট আউট..,’ ডাক্তারদের আন্দোলনকে কটাক্ষ, নির্যাতিতার বাবা-মা কেও তুমুল বিঁধলেন মদন
পাশাপাশি এদের নিজের কর্মজীবনে শুরুর দিনগুলির কথা স্মরণ করে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলে ওঠেন, ‘তরুণ বয়সে এই আদালতে আসতাম। খুঁটিয়ে দেখতাম এই আদালত আর আদালতের এই দুটো পোট্রেট।’ সেইসাথে তিনি বলেন, ‘রাতে ভাবছিলাম, দুপুর ২ টোয় আদালত খালি হয়ে যাবে, আমি নিজেকে স্ক্রিনে দেখব। আপনাদের সবার উপস্থিতিতে আমি অভিভূত। আমরা এখানে তীর্থযাত্রীর মতো এসেছি। পাখির মতো অল্প সময়ের জন্য। আমরা কাজ করি, তারপর চলে যাই।…বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর কতরকমের মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখবেন।’
আগামীদিনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন সঞ্জীব খান্না। দু’বছর আগে নভেম্বরে দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়া চন্দ্রচূড় ভাবি প্রধান বলেন, ‘আমি জানি, আমার পরে যিনি আসবেন তিনি অত্যন্ত স্থিতধী, দৃঢ় – বিচারপতি খান্না, অত্যন্ত সম্মানিত, আদালত নিয়ে সচেতন এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গীতে সমৃদ্ধ ব্যক্তি।’