জানেন না অনেকেই! ভারতে ই-রিকশার প্রবর্তক হলেন ইনিই, চমকে দেবে অনিলের কাহিনি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গ্রাম থেকে মফস্বল, পাড়ায় পাড়ায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের যাতায়াতের জন্য এখন অনেকেই ভরসা করেন টোটোর উপর। ইলেকট্রিক এই যান এক কথায় বিপ্লব এনেছে দেশের পরিবহণ ক্ষেত্রে। তবে আজ আমরা এমন এক মানুষের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চলেছি যাকে বলা যেতে পারে ভারতের (India) টোটোর ‘জনক।’

ভারতের (India) টোটোর ‘জনক’

মাথায় পেতে আঁচড়ানো চুল, গাল ভর্তি সাদা দাড়ি, মুখে মিষ্টি হাসি, ছোটখাটো এই চেহারার ব্যক্তিটি হলেন অনিল কুমার রাজবংশী। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই হয়ত নাম শোনেননি অনিল কুমারের। তবে তিনি না থাকলে দেশের রাস্তায় বিপ্লব ঘটানো টোটো নামক যানটির সাথে অপরিচিতই থেকে যেতেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী।

আরোও পড়ুন : ডাক্তারদের জন্য বড় খবর! এবার প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার

অনিল কুমার রাজবংশীকে অনেকেই  ‘ফাদার অফ ই-রিকশা ইন ইন্ডিয়া’ নামেও ডেকে থাকেন। ছোট্ট এই পরিবেশবান্ধব যানটির আদি সংস্করণের সূচনা হয়েছিল অনিল কুমার রাজবংশীর হাত ধরেই। শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় বছর ত্রিশেক আগে। একাধারে বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার অনিল কুমার মহারাষ্ট্রের ফাল্টনে প্রথম ইলেকট্রিক রিকশা তৈরির উদ্যোগ নেন ১৯৯৫ সালে।

আরোও পড়ুন : ডাক্তারদের সাসপেনশন বাতিল! স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় বড় ঘোষণা মমতার

একটানা পাঁচ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ২০০০ সাল নাগাদ তৈরি করে ফেলেন  ই-রিকশার (E Rickshaw) প্রথম প্রোটোটাইপ। নিজের প্রোটোটাইপ প্রকাশ্যে আনার পর গোটা দেশের রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে যায়। অনিলের আবিষ্কারে তাজ্জব বনে যায় বড় বড় গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাও। এরপর বিভিন্ন কোম্পানি নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে অনিল কুমারের প্রোটোটাইপ নিয়ে।

দেশের (India) বাজারে ধীরে ধীরে আসতে থাকে নানান ডিজাইনের ইলেকট্রিক রিকশা। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী অনিল স্নাতক উত্তীর্ণ হন আইআইটি কানপুর থেকে। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য অনিল পাড়ি জমান আমেরিকার ফ্লোরিডায়। তবে বিদেশের সুযোগসুবিধা ত্যাগ করে  ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন অনিল। শুরু হয় নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা।

E Rickshaw inventor of India

ইলেকট্রিক রিকশার পাশাপাশি অনিল তৈরি করেছেন অ্যালকোহল চালিত স্টোভও। এখনও পর্যন্ত ৭ টি পেটেন্ট রয়েছে অনিলের নামে। অসাধারণ কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে অনিল কুমার রাজবংশীকে (Anil Kumar Rajvanshi)।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর