বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যদি আপনি এমন রাজ্যে বসবাস করছেন, যেখানে ভোটার লিস্টে আপনার নাম নেই। তাহলে আপনাকে আর হতাশ হতে হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন (Election Commission) এইরকম ভোটারদের ই ভোটিং (E-Voting) এর মাধ্যমে মানবাধিকার প্রয়গের সুবিধা দেওয়ার বিকল্পে চিন্তাভাবনা করছে। কমিশনের (EC) এই নতুন পদক্ষেপে ভোট শতাংশ বৃদ্ধি এবং ভোটে খরচ কম হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে।
কমিশন এরজন্য ই-ভোটিং (E-Voting) এর মাধ্যমে রিমোর্ট ভোটিং এর সুবিধা দেওয়ার বিকল্প গুলোকে বিকশিত করছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা সম্প্রতি এই ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। উনি বলেছিলেন, আইআইটি মাদ্রাসার সাহায্যে বিকশিত করার পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের বাসিন্দা যেই রাজ্যেই থাকুক না কেন, সেখান থেকে সহজেই ভোট দিয়ে নিজের মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
একটি অনুমান অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৪৫ কোটি প্রবাসি যারা রোজগারের জন্য নিজের বাসস্থান ছেড়ে অন্য কোন রাজ্যে গিয়ে বসবাস করছে। আর এরা নানারকম সমস্যার কারণে ভোটের দিন নিজের নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছে ভোট দিতে পারেন না।
এই পরিকল্পনার সাথে জড়িত এক আধিকারিক জানান, ই ভোটিং সবার আগে ২০১০ সালে গুজরাটের নগর নিগম নির্বাচনে করানো হয়েছিল। ওই ভোটে রাজ্যের প্রতিটি নির্বাচনী বুথে ই ভোটিং এর বিকল্প দেওয়া হয়েছিল ভোটারদের। এরপর ২০১৫ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (গুজরাট) আহমেদাবাদ, সুরাট সমেত ছয়টি নগর নিগম নির্বাচনে ভোটারদের ই ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যমে যুক্ত করেছিল। যদি, প্রচার না পাওয়ার কারণে ৯৫.৯ লক্ষ রেজিস্টার ভোটারদের মধ্যে মাত্র ৮০৯ জন ভোটার এই ই ভোটিং সুবিধা ব্যবহার করেছিল। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন এই নিয়মের ব্যাপক ভাবে প্রচার করবে, যাতে সবাই নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারে।