বাংলা হান্ট ডেস্ক : এমন অনেক পাখি আছে যাদের দেখলে সত্যিই মানুষের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তুলনা না করে পারা যায় না।অনেক সময় আবার ছদ্মবেশি মানুষের আখ্যাও দেওয়া হয়। তেমনই এক ছদ্মবেশী ইগল পাখি ইতিমধ্যেই নেট পাড়া তোলপাড় করে দিচ্ছে। আকারেও যেমন বিরাট বড় তেমনই শক্তিশালী আর তেমনই হিংস্র চোখ ঠিক যেন মানুষ রুপী ঈগল। আসল নাম হল হার্পি ঈগল।
আমাদের দেশে প্রায় দেখাই যায় না, তাই দেখলে খানিকটা মানুষরুপী ইগল মনে হওয়ারই কথা তবে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ব্রাজিলের বৃষ্টি অরণ্যেই এদের বসবাস। যদিও পাপুয়া নিউগিনি কিংবা আমেরিকাতেও দেখা মেলে তবে আকারের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ করা যায়। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন এক ধরনের পাখি দেখে কার্যত চমকে উঠেছেন সকলেই।
https://twitter.com/Eaco_M/status/1178815855976681472
একেবারে পুরো দোস্ত মানুষের মতো চেহারা, মানুষের মতো চোখ যদিও নাকটি নেই তবে মুখ কিংবা ভাব ভঙ্গিমা একেবারে মানব জাতির মতো। তাই অনেকেই পাখি বেশি মানুষও বলছেন। কেউ কেউ আবার পাখি ভাবতে কার্যত নিশ্চিত বোধ করছেন না। আর এই ধরনের ইগলের নাম ভারতে অন্তত কেউ শুনেছে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে, প্রথম 1758 সালে সুইডিশ জীব বিজ্ঞানী কার্ল লিনিয়াস সিস্টেমা নেচার নামক বইতে এই হারই গলদের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন।
যাঁরা সাধারণত খুব হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। যার সাধারণ ইগলের থেকে ওজন এবং আকারে অনেকটাই বড় হয়। উচ্চতাও অনেক বেশি। আবার মহিলা হার্পি ইগল দের চেহারা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কয়েক বছর আগে বিজ্ঞানীরা এদের আচার আচরণ এবং ভাব ভঙ্গি বা খুঁটিয়ে দেখতে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন।
গবেষকরা গবেষণার শেষে জানিয়েছেন এঁদের নখ এতটাই তীব্র এবং তীক্ষ্ণ হয় যে শিকার ধরে কয়েক কিলোমিটার উড়ে যেতে সক্ষম। যদিও আসতে আসতে বিলুপ্তির পথে এই বিশেষ প্রজাতির ইগল তবুও ইউনাইটেড নেশন্স ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্সের সময় 2016 সালে এঁদের রিও ব্র্যাভো সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।