বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমুল (Amul) মানেই আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের অধীনে সারাবছরই রোজকার জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমুলের (Amul) দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। বিশেষ করে সকালে চায়ের কাপ নিয়ে যাদের দিনের শুরু হয় তাদের জন্য আমুল (Amul) দুধের প্যাকেট একেবারে বাঁধাধরা।
সারা দেশে দুধ বিক্রির জন্য আমুল একটি বড় নাম। দুধের পণ্য বিক্রির জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিও দিয়ে থাকে আমুল। অর্থাৎ সাধারণ মানুষও দোকান খুলে আমুলের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আমূলের সাথে ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোম্পানি কখনও লাভের ভাগ চাইবে না।
তাছাড়া, আমুল পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কমিশনেও দেয়। তাই যে যত বেশি পণ্য বিক্রি করবেন, সে বেশি কমিশন পাবেন। আর সারাবছর দুধ ও আনুষঙ্গিক পণ্যের চাহিদা থাকায় বিক্রিও ভালোই হয়। এইভাবে প্রত্যেক মাসে কমিশন থেকেও ভালোই টাকা আয় করা যায়।
আমুলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কীভাবে পাওয়া যায়?
আমুলের সাথে ব্যবসা করার জন্য মূলত দুই ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়া যায়। এরমধ্যে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে রয়েছে আমুল আউটলেট, আমুল রেলওয়ে পার্লার এবং আমুল কিয়স্ক। এছাড়া আরও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে রয়েছে আমুল আইসক্রিম স্কুপিং পার্লার। তবে এখানে বলে রাখি এই ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজির দাম কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। তাছাড়া দোকানের আকার আলাদা হয়ে থাকে। কেউ যদি আমুলের আউটলেট খুলতে চান তাহলে সেক্ষত্রে ১৫০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। একইভাবে আইসক্রিম পার্লার খোলার জন্য সর্বনিম্ন স্থান ৩০০ বর্গফুট জায়গা দরকার হয়।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার ছাড়ুন! এই বিশেষ জাতের মুরগীর ব্যবসা করলেই ফুলে ফেঁপে উঠবে ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’
আমুল আউটলেট, রেল পার্লার এবং কিয়স্কের খরচ
জানা যাচ্ছে আমুল আউটলেট, আমুল রেলওয়ে পার্লার এবং আমুল কিয়স্কের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে গেলে খরচ হবে ২লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ড নিরাপত্তার জন্য ২৫ হাজার টাকা, সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা, এবং সরঞ্জামের জন্য ৭০ হাজার টাকা। জানা যাচ্ছে, এই তিনটি আউটলেটের জন্য দোকানের আকার হতে হবে ১০০-১৫০ বর্গফুট।
আমুল আইসক্রিম স্কুপিং পার্লারের খরচ
অন্যদিকে একটি আমুল আইসক্রিম স্কুপিং পার্লার খুলতে গেলে খরচ হয় ৬ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার সিকিউরিটি ডিপোজিট, আর ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে সংস্কারের জন্য। আর মেশিনারির জন্য দিতে হবে দেড় লাখ টাকা।