বাংলা হান্ট ডেস্ক : শহর থেকে গ্রাম, জেলা থেকে রাজ্য এখন আমাদের দেশের গোটা তরুণ প্রজন্মের কাছে সমস্যা একটাই তা হল বেকারত্ব। প্রতিনিয়ত দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিক্ষিত বেকার যুবক – যুবতীদের সংখ্যা। তাই দিনের পর দিন কোন চাকরি না পেয়ে একপ্রকার আশাহত হয়েই ইদানিং অনেকেই নিজস্ব ব্যবসা (Business Idea) শুরু করতে চাইছেন।
লাভজনক ঘিয়ের ব্যবসা (Business Idea)
কেউ কেউ আবার চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের জন্য শুরু করছেন ছোটখাটো ব্যবসা (Business Idea)। কিন্তু যে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে সবার প্রথমে প্রয়োজন হয় পুঁজি। তাই কম পুঁজিতে বেশি লাভের ব্যবসা করার দিকেই ঝোঁকেন সকলেই। ছোটখাটো ব্যবসা দিয়ে শুরু করেই ধীরে ধীরে ব্যবসা (Business Idea) বাড়ানো যেতে পারে।
এই মুহূর্তে অত্যন্ত জনপ্রিয় এমনই একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা হল ঘি-এর ব্যবসা। ঘি এমনই একটা জিনিস যার চাহিদা থাকে সারা বছর। আর কেউ যদি ভালো মানের খাঁটি ঘি যোগান দিয়ে যেতে পারেন তাহলে তার কখনও খরিদ্দারের অভাব হবে না। আর গ্রাহকদের মধ্যে সব সময় বাইরের তুলনায় বাড়িতে তৈরি জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
তাই কেউ যদি নিজের বাড়িতেই ঘি বানিয়ে তা বিক্রি করার ব্যবসা করতে পারেন তাহলে তা থেকে তিনি ভালো লাভ করতে পারবেন। ঘিয়ের ব্যবসা করার জন্য প্রথমেই যে খুব বেশি পুঁজি দরকার হয় তা কিন্তু নয়। এখন বাড়িতে ঘি তৈরি করার জন্য একটি মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। এই মেশিন কেনার জন্য খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : পুজোর আগেই নতুন সার্কুলার! সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার নিয়মে এল বড় বদল
এইভাবেই মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচ করে কেউ যদি ঠিক মতো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন তাহলে খুব সহজেই সেখান থেকে তিনি প্রত্যেক মাসে ৫০ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবেন। বাড়ির গৃহবধূ থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, কিংবা স্কুল কলেজ পড়ুয়া যে কেউ এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তবে ঘিয়ের এই ব্যবসা করতে হলে ঘি তৈরির পাশাপাশি ঘি রাখার জন্য পাত্র-ও কিনতে হবে। আর এইভাবে বাজারে খাঁটি ঘি বিক্রি করতে পারলে লাভ-ও হয় প্রচুর। জানা যাচ্ছে বাড়িতে এই খাঁটি ঘি তৈরি করতে খরচ হয় মোটামুটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু বাজারে সেই ঘি বিক্রি করা হয় ১২ থেকে ১৩০০ টাকায়।