বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তুলসী চাষের ব্যাপারে আগে ভেবেছিলেন? করোনার উপদ্রব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বাড়ির খাদ্যতালিকায়তেই ভেষজ দ্রব্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলসী সেই লিস্টে রয়েছে সবার ওপরে। তুলসী অবশ্য বাঙালির কাছে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এত বছর ধরে সাধারণত তা ধর্ম চর্চার কাজেই ব্যবহৃত হত বেশি। কিন্তু করোনার দাপাদাপিতে তুলসীর ভূমিকা বাঙালির জীবনে বদলে গিয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত এক বছর ধরে তুলসী-মধু-গোলমরিচ-আদার পাচন এখন বাঙালি জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া ওষুধ প্রস্তুতির কাজেও এই ভেষজ গুল্মের চাহিদা বেড়েছে। তুলসী গাছের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন প্রকার রোগপ্রতিরোধের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই মহামারী পরবর্তী সময়ে এখন তুলসীর ব্যবসার কথা ভাবছেন অনেকেই।
তুলসী চাষ করার সবথেকে ভালো সময় হলো জুলাই। ৪৫ সেমি দূরে দূরে পুঁততে হবে তুলসীর চারা। কিন্তু অমৃত তুলসী ও কর্পূর তুলসীর ক্ষেত্রে ব্যবধানটি হতে হবে ৫০ সেমি-এর। গাছ পোঁতার পর তার দরকার সামান্য পরিচর্যা। ১০ দিনের সেই পরিচর্যা চারার দ্রুত বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। সাধারণত তুলসীর পাতা বড় হতে শুরু করলে এর চাষ শুরু করা হয়। তুলসীর চারা রোপণের পর তিন থেকে চার মাস পর থেকে প্রতি মাসে একবার করে গাছের পাতা তোলা যায়। এবং ২.৫ মাস অন্তর একবার গাছের বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। গাছ ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হলে তবেই গাছের ডাল কাটা উচিত।
এবার প্রয়োজনীয় ভেষজ সংগ্রহ তো হলো, কিন্তু বিক্রি করবেন কিভাবে? সাধারণত এই ভেষজ বিক্রির জন্য সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে এজেন্টদের। তারাই আপনাদের যোগাযোগ করিয়ে দেবেন ক্রেতাদের সাথে। বিভিন্ন ভেষজ সংস্থার কাছে তুলসীর চাহিদা প্রবল। একবার যোগাযোগ হয়ে গেলে বিক্রি করাটা কোনও সমস্যাই নয়। ৩ মাসেই বিশাল লাভের মুখ দেখতে পারেন আপনি। আপনি যদি ১৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তিন মাসেই তিন লাখ টাকার ব্যবসা করে ফেলা আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। ডাবর, পতঞ্জলি-র মতো সংস্থা গুলো সবসময়ই খোঁজে থাকে এই প্রকার ভেষজের।