বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ব্যাঙ্ক হল State Bank Of India বা SBI। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি, যত দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকসংখ্যা। মূলত, এই ব্যাঙ্কে গ্রাহকেরা টাকা জমা রাখলেও এবার গ্রাহকদের জন্যই বিরাট সুযোগ নিয়ে আসছে SBI। জানা গিয়েছে যে, এবার গ্রাহকদের বাড়িতে বসেই মোটা উপার্জনের সুবিধা প্রদান করবে এই ব্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে যে কেউই প্রতি মাসে ৯০,০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
কিভাবে রয়েছে উপার্জনের সুযোগ: মূলত, গ্রাহকদের সঠিক পরিষেবা দিতে এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে SBI তার ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি ছড়িয়ে দিচ্ছে সারা দেশজুড়ে। যেটির প্রত্যক্ষ সুবিধা পেতে পারেন আপনিও। অর্থাৎ, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমেই আপনার কাছে রয়েছে বিরাট রোজগারের সুযোগ। তবে, এই বিষয় আপনি ইচ্ছুক থাকলে আপনাকে প্রথমেই যেতে হবে SBI-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখান থেকেই আপনি অনলাইন মারফত আবেদন করতে পারবেন। ঠিক তারপরেই যেসমস্ত সংস্থা ATM স্থাপনের কাজ করে সেগুলির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Indicash, Muthoot ATM এবং India One ATM-এর মত সংস্থাগুলি এই কাজ করে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য কি কি প্রয়োজন: আপনি যদি ATM বসানোর পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে ৫০-৮০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য যেকোনো ATM থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে সেটি রাখতে হবে। এছাড়াও মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি যেখানে ATM টি বসাতে চলেছেন সেটি যেন বাড়ির নিচতলায় থাকে এবং সংশ্লিষ্ট জায়গাটিতে লোকজন যেন ভালোভাবে চলাচল করতে পারেন। এর পাশাপাশি, ATM সচল রাখতে সেখানে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থাও আপনাকেই করতে হবে। এছাড়াও, ATM-টি যেখানে বসছে সেখানে একটি কংক্রিটের ছাদ থাকাও উচিত।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা শর্তাবলী রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত বিবরণ আপনি সংস্থার ওয়েবসাইটে গেলেই জানতে পারবেন। এছাড়াও, SBI ATM-এর জন্য ২ লক্ষ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট রাখতে হয়। যা সম্পূর্ণরূপে ফেরতযোগ্য।
কি কি নথিপত্রের প্রয়োজন: SBI-র ATM স্থাপনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস অবশ্যই সাবমিট করতে হবে। সেগুলি হল, আইডি প্রুফ (আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড), ঠিকানার প্রমাণপত্র (রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি), এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস, পাসবুক, ই-মেইল আইডি, ফটোগ্রাফ, ফোন নম্বর, জিএসটি নম্বর সহ প্রয়োজনীয় বিবরণ জানাতে হবে।