রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পের সতর্কতা, শিয়রে শমন ভারতের পড়শি দেশে!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, প্রকৃতির রোষের কাছে আজও মানুষ অসহায়। সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমার, থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প (Earthquake) চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সেটা। চলতি বছরের শুরুতেই একাধিক দেশে ভূমিকম্পের খবরে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। এর মাঝেই আরো বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। ভয়াবহ ভূমিকম্প ধাক্কা দিতে পারে চিনকে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৮ পর্যন্তও পৌঁছাতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের যে বড়সড় বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসতে চলেছে তার আভাস আগে থেকেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বড় ভূমিকম্পের (Earthquake) সতর্কতা এই দেশকে ঘিরে

ভূমিকম্প (Earthquake) কখন, কোথায় আঘাত হানবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয় বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে সম্প্রতি বিগত ১৫০ বছরে পৃথিবীতে যতগুলি ভূমিকম্প (Earthquake) হয়েছে এবং পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি পরীক্ষা করার পর বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রা পর্যন্ত তীব্র ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। চিনের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের একটি টিম সম্প্রতি চিন এবং মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী এলাকাগুলিতে একাধিক তীব্র মাত্রায় কম্পনের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মায়ানমারের ভূমিকম্পের (Earthquake) কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয় এই গবেষণাটি।

Earthquake may hit this country

কী সমীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা: বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার প্রকাশ করেছে যে, পৃথিবীর টেকটনিক স্ট্রেস জোনগুলি একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে যা বিপজ্জনক হতে পারে। বেজিং ভূমিকম্প (Earthquake) এজেন্সির উর্দ্ধতন ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে করা হয়েছিল এই গবেষণাটি। গত ২০ শে মার্চ জিওডেজি অ্যান্ড জিওডায়নামিক্সে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, ১৮৭৯ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত যতগুলি ভূমিকম্প হয়েছে সবগুলির ডেটা স্টাডি করার পরেই গবেষণার ফলাফল জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তানের উপরে ফের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এই দেশের, আইন না মানলেই ৫ বছরের সাজা!

বাড়ছে ভূমিকম্পের আশঙ্কা: চিন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অন্তত ৬ টি বড় ভূমিকম্পের (Earthquake) সক্রিয় সময় চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিটি ভূমিকম্পের সক্রিয় সময় পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিতে পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। দিনের দৈর্ঘ্যে পরিবর্তনের সঙ্গে এর পরিমাপ করা সম্ভব। গবেষকরা এও সতর্ক করেছেন, পৃথিবীর ভূকম্পের (Earthquake) স্ট্রেস জোনের অভিমুখ ঘুরতে পারে উত্তর পূর্ব দিকে। এর জেরে হিমালয়, ইউনান, সিচুয়ান এলাকায় বিপদের আশঙ্কা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন : বিজ্ঞানের ‘কারসাজি’তে রামলালার কপালে তিলক আঁকেন সূর্যদেব, কী এই “সূর্য তিলক”? কীভাবেই বা তৈরি হয়?

গবেষকরা জানাচ্ছেন ভূকম্পের স্ট্রেস জোনটি এই মুহূর্তে একটি সক্রিয় সময়ের প্রথম পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ পশ্চিম চিনের লংমেনশন ফল্টের বন্ধ অংশগুলিতে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৮ সালে এর জেরেই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল সিচুয়ান প্রদেশে। ভারতের উত্তর দিকে গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও প্রকাশ পেয়েছে রিপোর্ট।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X