বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে একাধিক ভয়ংকর ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ। ভূবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, প্রতিবছর ৪৮ মিমি গতিতে এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট, আর তার জেরেই মাঝেমধ্যে কেঁপে উঠছে ভারতীয় উপমহাদেশের মাটি। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের (India) প্রায় ৫৪% এলাকাই ভূমিকম্প প্রবণ।
ভারতের (India) সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ শহর
বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতের প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ ২০৫০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ঝড় ও ভূমিকম্পের ফলে। এবার ভারতীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক জানাল , ভূমিকম্প নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ভারতের (India)। সিসমোলজিস্টদের মতে, ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হয়ে উঠেছে ভারতের ৫৯% এলাকা। তারমধ্যে ভেরি হাই রিস্ক জোন বা অত্যন্ত ঝুঁকিপ্রবণ জোন-৫ এর অধীনে রয়েছে ১১% অঞ্চল।
আরোও পড়ুন : ‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে?’ বিরাট মন্তব্য শুভেন্দুর
হাই রিস্ক জোন বা ঝুঁকিপ্রবণ জোন-৪ এর আওতায় রয়েছে ১৮% ও মাঝারি ঝুঁকি প্রবণ বা জোন-৩-র অধীনে রয়েছে ৩০% এলাকা। গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, বিহার সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি বলে জানিয়েছে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক। দেশের এই সমস্ত অঞ্চল রয়েছে সিসমিক জোন-৫ এর অধীনে।
আরোও পড়ুন : মোবাইলের দিন শেষ! নতুন বিকল্প নিয়ে হাজির হওয়ার পথে মেটা, জানালেন স্বয়ং জুকারবার্গ
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুজরাতের (Gujrat) ভুজ ভারতের সবথেকে ভূমিকম্প প্রবণ শহরের (City) তালিকায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। পাশাপাশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে বিহারের দ্বারভাঙাও। অসমের গুয়াহাটি, জোরহাট, সাদিয়া এবং তেজপুরে ভূমিকম্পের প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার তালিকায় রয়েছে মণিপুরের ইম্ফল, নাগাল্যান্ডের কোহিমা এবং হিমাচল প্রদেশের মান্ডিও।
এমনকি ভূমিকম্প (Earthquake) হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আন্দামান ও নিকোবরের পোর্ট ব্লেয়ার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরও। উপরে উল্লেখিত এলাকাগুলির মধ্যে গুজরাতের ভুজে ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকাল ন’টায় ৭.৭ রিখটার স্কেলে কেঁপে ওঠে ভুজের মাটি। ভয়ঙ্কর এই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রচুর।