বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আশায় বুক বাঁধতে পারেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত ইমামি। এই কথা ঘোষণা করে দিয়েছে খোদ ইমামি কর্তৃপক্ষ। ইনভেস্টর গোষ্ঠীর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় দিনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। যার ফলে এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন লাল হলুদ সমর্থকরা।
ইতিমধ্যেই কোচ হিসেবে প্রাক্তন ভারতীয় কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং তাকে কলকাতা লিগ ও ডুরান্ডে সাহায্য করার জন্য কেরালাকে সন্তোষ ট্রফি জেতানো বিনো জর্জকে চূড়ান্ত করে ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর তিন সপ্তাহের মধ্যে মাঠে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে, কিন্তু এখনও কোনও খেলোয়াড়কে চূড়ান্ত করে উঠতে পারেননি তারা। তাই এমন পরিস্থিতিতে এমন একজন কোচকেই দায়িত্ব দিতে চাইছিলেন যার ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে ভালো পরিচিতি রয়েছে। আর অতীতে ২০০২ থেকে ২০০৫ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
দল গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু করে দিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ডে সাইডলাইনে কনস্ট্যানটাইন থাকবেন না। ওই দুটি টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করবেন বিনো জর্জ। যখন আইএসএলে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দলে যোগ দেবেন তখন তিনি তার সহকারীর ভুমিকা পালন করবেন। তিনি এই মুহূর্তে সন্তোষ জয়ী কিছু নতুন তরুণ ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে আসতে চলেছেন।
ইতিমধ্যেই কেরালার দুই দক্ষ ফুটবলার জিজো জোসেফ এবং জেসিন টিকেকে ইস্টবেঙ্গলে যুক্ত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এই মরশুমে তারা প্রথম ইস্টবেঙ্গলে সই করা ফুটবলার হয়ে উঠতে পারেন। এদের মধ্যে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরালার অধিনায়ক ছিলেন জিজো। ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার মাঝমাঠ সামলাবার দায়িত্ব পাবেন। অপর ফুটবলার জেসিনের অবশ্য এখনও ইস্টবেঙ্গলে সই লরা নিশ্চিত নয়। কারণ এই উইং ব্যাকের সাথে কথা চলছে চেন্নাইয়ান এফসিরও। তবে বিনো জর্জ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।