বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ডার্বির আগে যেন সমস্যা কমতেই চাইছে না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। একে দেরিতে প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে। গোটা দল একত্রিত হয়েছে তারপর এক মাসও কাটেনি। শুরু থেকেই চলে যাচ্ছে চোট-আঘাতের সমস্যা। এবার ডার্বির আগের দিন অনুশীলনী করতে পারলেন না স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিকেলবেলা শেষবারের মতো অনুশীলন স্বার্থে এসেছিল গোটা দল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে ইস্টবেঙ্গল মাঠের অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে বাধ্য হয়ে দলকে অনুশীলন করতে নামাতেই পারলেন না কোচ।
এটিকে মোহনবাগানের অবশ্য এই সমস্যা নেই। তারা শনিবার সকালবেলায় নিজেদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডুরান্ড প্রথম জটিল তুলে নিতে চাইছে জুয়ান ফার্নান্দোর দল। মুম্বাই সিটি এফসি এবং রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে যে ভুলগুলি তারা করেছিলেন সেগুলোর আর পুনরাবৃত্তি করতে চান না স্প্যানিশ কোচ। এটিকে মোহনবাগান গত চার ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে এসেছে। রবিবারও সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে চান তারা।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল ভুগছে চোট-আঘাতের সমস্যায়। ডুরান্ডে প্রথম ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যে গতবারে ইস্টবেঙ্গলে জার্সিতে দুরন্ত ফুটবল খেলা নাওরেম মহেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচের পর ছুটে গিয়েছেন ডিফেন্ডার অঙ্কিত মুখার্জি এবং স্ট্রাইকার ভিপি সুহের। ডিফেন্সে তাই এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কাল শুরু থেকে ইভান গঞ্জালেস এবং আক্রমণভাগে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এলিয়ান্দ্রোর খেলার সম্ভাবনা।
সমর্থকদের আবেগকে সম্মান করছেন লাল-হলুদ কোচ কনস্ট্যানটাইন। কিন্তু তিনি সমর্থকদের যুক্তি দিয়ে ভাবার কথাও বলেছেন। জানিয়েছেন যে কোনো দলে মাঠে হারার জন্য নামবে না। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগেও তার হাতে মাত্র ১২ জন ফুটবলার ছিল। কয়েকদিন আগেই নিজের পুরস্কারের সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরেছেন তিনি। এখনো দুই এক জন ভারতীয় তারকা ও এক বিদেশির যোগ দেওয়া বাকি রয়েছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সমর্থকদের তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন কনস্ট্যানটাইন। তিনি বলেছেন রবিবার জিতলেও তারা তিন পয়েন্ট পাবেন, আর যদি হেরে যান তাহলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না।
এটিকে মোহনবাগানের স্কোয়াড ভালো, তাতে কোন সন্দেহই নেই। দলের প্রত্যেকটি পজিশনে দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলারের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ বিদেশিরাও রয়েছে। জনি কাউকোরা খাতায়-কলমে ইস্টবেঙ্গলের থেকে এগিয়েই মাঠে নামবেন। কিন্তু তরুণদের নিয়ে গড়া এই ইস্টবেঙ্গলকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মাঠে বা প্রান্তে তুহিন দাস এবং ডান প্রান্তে অনিকেত যাদবদের দিয়ে তৈরি দুর্দান্ত আক্রমণ ইন্ডিয়ান নেভি এবং রাজস্থান ইউনাইটেডের ডিফেন্সকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। ডিফেন্সে চুংগুঙ্গা এবং ইভান গঞ্জালেজের জুটির মধ্যেও ভালো বোঝাপড়া দেখা গিয়েছে। গোলরক্ষক কমলজিৎ দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। সমস্যা শুধু একজন জেনুইন গোল স্কোরারকে নিয়ে। রবিবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা তাদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এলিয়ান্দ্রোর পারফরম্যান্সের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন।