বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কিছুটা কাটলো সমর্থকদের হতাশা। ব্যাঙ্গালুরুর এফসির প্রাক্তনীর গোলেই অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে লাল হলুদ ব্রিগেড। ডার্বি সহ টানা দুটি ম্যাচে হারের অবশেষে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকরা এই দলকে নিয়ে কোন রকম আশাই রাখছিলেন না আর। তাদের তৈরি হওয়া গভীর ক্ষততে কিছুটা প্রলেপ লাগালেন নাওরেম মহেশরা।
বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আজ চলতি মরশুমে প্রথমবার ক্লিনশিট রাখল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। সুনীল ছেত্রীর চলতি মরশুমটা একেবারই ভালো যাচ্ছে না। যে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান খেলার সময় নিয়মিত গল্পে রয় কৃষ্ণা তিনি আজকে অফ কালার। ফলে যা হওয়ার ঠিক তাই হলো। আজকের ম্যাচ জিতে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টস টেবিলে ৮ নম্বরে উঠে এলো ইস্টবেঙ্গল।
চলতি আইএসএল মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেই প্রথম জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আজ আবারো সাদা জার্সিতে এলো নিজেদের মরশুমের দ্বিতীয় জয়। এই জয় থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতি আইএসএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে লাল হলুদ ব্রিগেড।
আজ প্রথমার্ধ থেকেই কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের দাপট ছিল বেশি। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন কিরিয়াকু, হাওকিপরা। সুযোগ বুঝে সুনীল ছেত্রীরাও আক্রমণে উঠছিলেন, কিন্তু তাদের আক্রমণে ইস্টবেঙ্গলের মতো ধার ছিল না। প্রথমার্ধে একটিও শট টার্গেটে রাখতে পারেনি হোম টিম।
তৃতীয়ার্ধের শুরুর দিকে একটু তেড়ে-ফুঁড়ে আক্রমণ করেছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু গোটা দ্বিতীয়ার্ধে তারা একবার মাত্র কমলজিতের পরীক্ষা নিতে পেরেছিল। ৬৯ মিনিটে দুরন্তভাবে প্রেস করে সুরেশের কাছ থেকে বল ছিলিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠে আসেন নাওরেম মহেশ। সামনে ছিল না কোনও ডিফেন্ডার, শুধু ছিলেন গোলকিপার গুরপ্রীত, কিন্তু নিজে শট নেওয়ার চেষ্টা না করে নিঃস্বার্থভাবে দলের অধিনায়ক ক্লিয়েটন সিলভাকে গোলের জন্য বল সাজিয়ে দেন মহেশ। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করতে ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। বহু চেষ্টা করেও ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে পারেনি রয় কৃষ্ণারা। ইস্টবেঙ্গলও সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল কোচিং স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন আশা করবেন যে এই জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সামগ্রিকভাবে।