বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নাটকীয় ম্যাচে চললো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লাল কার্ড দেখে চাপও বেড়েছিল লাল হলুদ শিবিরের ওপর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের শ্যামল বেসরার গোলে ওড়িশা এফ সি’র বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এর ফলে রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে (Reliance Foundation Development League) জয়ের হ্যাটট্রিক করলো লাল হলুদ শিবির। তিন ম্যাচ বাকি থাকা অবস্থায় আপাতত টেবিলের শীর্ষে তারা।
আজকে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ড্র করায় ইস্টবেঙ্গলের কিছুটা সুবিধাই হয়ে গিয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে বেশ লড়াই করেই জয় পেতে হয়েছিল লাল হলুদ শিবিরকে। সেই দলের বিরুদ্ধে আজ প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। কিন্তু রিকি শ্যাবং গোল করা সত্ত্বেও দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেড স্পোর্টস সমতায় ফেরে এবং ম্যাচটি ড্র করে।
এর আগে মহামেডান এবং ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে বড় জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরু করেছিল সবুজ মেরুণ শিবির। ডার্বির আগে এই ফলাফল ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। পরের ম্যাচ জিতে নিজেদের নেস্কট জেনারেশন কাপের জন্য যোগ্যতাঅর্জনের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চাইবে তারা।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারানোর পরে নিজেদের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘকে বড় ব্যবধানে অর্থাৎ ৪-১ ফলে হারিয়েছিল। তারপর আজ ম্যাচ চলাকালীন ৮৭ মিনিটে অভিক ঘোষ লাল কার্ড দেখে যখন খেলার ফল ১-১।
সকলেই তখন ধরে নিয়েছিলেন যে তৃতীয় ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের মতোই পয়েন্ট নষ্ট করবে ইস্টবেঙ্গল যুবদল। কিন্তু সংযুক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে শ্যামলের গোল তফাৎ করে দেয় ওড়িশা ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। একজন ফুটবলার কম নিয়েও আক্রমণাত্মক খেলা শেষ অর্ধে খেলার জন্য কোচ বিনো জর্জকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন ভক্তরা।