বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আজ বেঙ্গালুরুর (Bengaluru FC) ঘরের মাঠে মরশুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) ছেলেরা। আর মাঠে নেমে হয়তো চলতি মরশুম যেটুকু এগিয়েছে তার মধ্যে নিজেদের সেরা ফুটবলটা খেলেছিল লাল হলুদ শিবির। কিন্তু ভাগ্য সাথ দিল না। সেই সঙ্গে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট হলো বারবার। ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সুনীলদের (Sunil Chhetri) বিরুদ্ধে মাঠ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হলো।
প্রথমার্ধে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের সেরা ভারতীয় ফুটবলার নাওরেম মহেশ বক্সের কিছুটা বাইরে বল ধরে দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে আসেন এবং ঠান্ডা মাথায় গুরপ্রীতকে পরাস্ত করেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সেই লিড দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে বক্সের ভেতর ফাউল আদায় করে পেনাল্টি জোগাড় করেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
যদিও ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। অনেকেই বলতে পারেন যে সুনীল ছেত্রী চালাকি করে পেনাল্টিটা আদায় করে নিয়েছেন। এরপর ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক গিল সঠিক দিক আন্দাজ করে ঝাঁপালেও সুনীলের নিখুঁত পেনাল্টি কিক আটকাতে পারেননি। প্রথমার্ধে দুই দলই আরও কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শেষপর্যন্ত সমতা বজায় রেখেই খেলা শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ফের নতুন রেকর্ড! এশিয়ার মাটিতে কেরিয়ারের এক নতুন অধ্যায়ের আরম্ভ করলেন রোনাল্ডো
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নন্দকুমার, হরমোনজ্যোৎ খাবরা। ইস্টবেঙ্গলের সম্পূর্ণ ন্যায্য বক্সের ভেতর হ্যান্ডবলের আবেদন খারিজ হয় এবং ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় লাল হলুদ শিবির। এই সিদ্ধান্ত এবং একাধিক সহজ সুযোগ নষ্টের খেসারত ইস্টবেঙ্গলকে দিতে হয় ৭২ মিনিটে। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ভুলে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান হাভিয়ের হার্নান্দেজ। প্রাক্তন এটিকে মোহনবাগান তারকা বলটি মাথার উচ্চতায় তুলে নিয়ে আশ্চর্য সুন্দর ব্যাক ভলি মারেন। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলটি জালে জড়ানো থেকে আটকাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক। সেই গোলটিই ম্যাচে তফাৎ করে দেয় দুই দলের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ভিলেন হওয়ার হাত থেকে বাঁচলেন কামিন্স! তারকা স্ট্রাইকারের ২ গোলেই AFC কাপে দ্বিতীয় জয় পেল মোহনবাগান
ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার দিতে এসে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলে গেলেন তিনি দলের খেলায় সন্তুষ্ট এবং তারাই মাঠের সেরা দল ছিলেন। তারপর সুনীল ছেত্রীর অভিজ্ঞতার প্রশংসা করে তাকে হালকা খোঁচা দিয়ে জানিয়ে দেন যে প্রথমার্ধে ওটা কখনোই পেনাল্টি ছিল না। সেই সঙ্গে দলের ফিনিশিং নিয়ে যে আরও কাজ করতে হবে তাকে, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন লাল হলুদ কোচ।