বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরে বারংবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মাঝখানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পড়শি দেশ। শুধু তাই নয়, সামগ্রিকভাবে সেখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। আর তারপরেই সেখানকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের এহেন পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে উদ্বিগ্ন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব।
বড় পদক্ষেপ নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal):
ইতিমধ্যেই, কলকাতার এই ক্লাবের তরফে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি যেকোনও ধরণের সাহায্যের জন্যেও তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ক্লাব তাঁবুতে সম্পন্ন হয়েছে একটি সাংবাদিক বৈঠক। যেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন ক্লাবের কর্তারা। পাশাপাশি, এই বিষয়ে আলোচনাও হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং তার সমর্থকদের সাথে বাংলাদেশের রীতিমতো “শিকড়ের টান” রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বহু সমর্থকের পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন এখনও বাংলাদেশেরl রয়েছেন। তাই, ওই দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই ক্লাবের। শুধু তাই নয়, অনেক সমর্থক এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্যও ক্লাবের (East Bengal) কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
এমতাবস্থায়, সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন যে, তাঁরা দরকার হলে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন। পাশাপাশি, বিপদের সময়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, যদি কোনও প্রীতি ম্যাচ খেলার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয় সেই ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বছরের শেষে বাজিমাত আম্বানির! Reliance Industries পেল ক্রিসমাস গিফট, জানলে উঠবেন চমকে
দেবব্রত স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal) পাশে থাকতে চায়। তিনি বলেন, “দরকার হলে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টা আমরা তুলে ধরব এবং তাঁকে অনুরোধ করবো তাঁদের রক্ষা করার জন্য। আমাদের কাছে যদি কোনও প্রস্তাব আসে সেটাও আমরা ভেবে দেখব। যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক ইস্যু আমরা নিজে থেকে কিছু করতে পারবো না। তবে, দুই দেশের কাছেই আমরা আবেদন করছি যে এই পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটুক।”