বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রোজ নতুন নতুন হারার উপায় বার করছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে আজ ভিপি সুহেরদের পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই আশা করে ফেলেছিলেন মরশুমের প্রথম হোম ম্যাচ জিততে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আরও একবার হতাশ হতে হলো সমর্থকদের। ২-০ ফলে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে ৪-২ ফলে হারলো লাল হলুদ ব্রিগেড।
প্রথমবার সুহেরের দুটি দুর্দান্ত পাস থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সেমবয় হাওকিপ ও নাওরেম মহেশ। রীতিমত চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ওড়িশা যে গোল করার সুযোগ পায়নি এমন নয়, কিন্তু ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ সেই আক্রমণগুলিকে ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওড়িশা কোচ গাম্বাউয়ের দুটি পরিবর্তন খেলাটা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেয়। ওড়িশার তারকা স্প্যানিশ বিদেশি পেদ্রো মার্টিন এবং তরুণ ভারতীয়, জেরি মাঠে এসেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই ফলাফল ২-২ করে দেয় পেদ্রো।
এরপর মাথায় চোটের জন্য ইস্টবেঙ্গলের সাইপ্রাসের বিদেশি চারালুম্বোস কিরিয়াকু মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতেই ইস্টবেঙ্গল খেলা থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায়। ঝড়ের মতো আক্রমণ হয়ে আসতে থাকে ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে। ইভান গঞ্জালেজরা সেই আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন।
শেষপর্যন্ত ৬৫ মিনিটে জেরি এবং ৭৬ মিনিটে নন্দা কুমারের গোল ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ দুটি পেরে পুঁতে দেয়। চারটি গোলের ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু দোষ ছিল ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিতের। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের কাছে এই হারের কোনও ব্যাখ্যা আছে কিনা সেটা তিনি নিজেই বলতে পারবেন। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের এবার বোঝা উচিত প্রতিবছর ইনভেস্টর গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে মাঠে নামলে এর চেয়ে ভালো কিছু হওয়ার নেই। দিনের শেষে যাবতীয় জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরই।