বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুর্দান্ত আক্রমণ করেও লাভ হল না। মরশুমের প্রথম অফিশিয়াল ম্যাচেও গোলের খাতা খুলতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। ফলস্বরূপ ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। প্রচুর সুযোগ সে আসেনি এমনটা নয়। তোমার থেকে একটু সতর্ক ফুটবল খেললে ও দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। একাধিক সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু সেই সুযোগগুলোকে গোল তুলতে ব্যর্থ হন পিভি সুহের, সুমিত পাসিরা।
আজ খেলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই নাওরেম মহেশ চোট পেয়ে পেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফলে প্রথমার্ধে আক্রমণগুলো কিসের সেভাবে দানা বাঁধেনি। কিন্তু নাওরেম মহেশের জায়গায় মাঠে নামা তুহিন দাস সকলকে প্রভাবিত করেন। আজকের পারফরম্যান্স যদি তিনি ধারাবাহিকভাবে করতে থাকেন তাহলে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম দলে জায়গা করে নিতে অসুবিধা হবে না তার। প্রথমার্ধে বিদেশি বিহীন ইস্টবেঙ্গল বেশি সুযোগ তৈরি করতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্স লিমাকে মাঠে আনা হয়। তারপর থেকেই মাঝমাঠে ডুয়েল জিততে থাকে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যে সুমিতের দূরপাল্লার শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বারে লেগে ফিরে আসে। পাথিক থেকে একের পর এক বিষাক্ত ক্রস ডেলিভার করতে শুরু করেন তুহিন দাস। কখনও সুমিত পাসি, কখনও সুহের, আবার কখনো অ্যালেক্স লিমা একের পর এক এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে সেগুলিকে নষ্ট করেন। পিসি সোহেল অপরদিকে বারবার একা করে যাচ্ছিলেন যার জন্য তিনি মাঝেমধ্যে ডিফেন্সে নেমে এসে ইন্ডিয়ান নেভির ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণ তৈরীর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল একজন দক্ষ ফিনিশিংয়ের অভাবে।
লালচুংগুঙ্গা, অঙ্কিত এবং প্রীতমকে দিয়ে তৈরি স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ডিফেন্স আজ সন্ত্রস্ত পারফরম্যান্স করেছে। প্রাক্তন লাল-হলুদ ফুটবলার প্রীতম কোটাল এবং মাঝমাঠে হরি কৃষ্ণ ছাড়া আর কোনও ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবলার তেমন কোনো বিপদ তৈরি করতে পারেননি এবং গোলরক্ষক কমলজিৎকেও বড় পরীক্ষার মুখোমুখি পড়তে হয়নি। এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে পয়েন্টস টেবিলে তিন নম্বরে রইলো ইস্টবেঙ্গল। ২৫ তারিখ পরের ম্যাচে রাজস্থান ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে তারা। দলটি প্রথম ম্যাচেই টুর্নামেন্টের ফেভারিট এটিকে মোহনবাগানকে ৩-২ ফলে হারিয়ে টুর্ণামেন্টে যাত্রা শুরু করেছে।