খোঁচা খাওয়া বাঘের মতোই প্রত্যাবর্তন! নাটকীয় ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা বরাবরই একটা কথা বলে আসেন। সেই কথাটা হলো যে সেই আগের সময় থেকেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বভাবটা যেন খোঁচা খাওয়া বাঘের মত। অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা ইস্টবেঙ্গলের থেকে পিছিয়ে পড়া বা বেকায়দায় থাকা ইস্টবেঙ্গল যেন আরও অনেক ভয়ংকর। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে ক্লাবের পারফরম্যান্স যা ছিল তা দেখে সমর্থকরা এই কথাটা বলতে পারছিলেন না। তবে চলতি মরশুমের শুরুতে এই আফসোস মিটেছে।

আজ ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল লাল হলুদ বাহিনী। যাবাকোর গোলে প্রথমার্ধে ১-০ ফলে লিড নিয়েছিল নর্থইস্ট। দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫৭ মিনিটে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছিলেন। ফাল্গুনী সিং।

ইস্টবেঙ্গল যদি এরকম গত দু-তিন বছরের ধারা অব্যাহত রাখতো তাহলে এক ঘন্টাতেই ম্যাচের পরিনাম নির্ধারিত হয়ে যেত। কিন্তু লড়াই ছাড়েনি এই মরশুমের নতুন ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান করানো নাওরেম মহেশ সিং। তার শট ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলরক্ষককে অসহায় অবস্থায় রেখে জালে জড়িয়ে যায়। এরপর ম্যাচে উত্তাপ বেড়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা অভিযোগ করতেই পারেন যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গিয়েছে।

এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন নর্থইস্টের গোলদাতা জাবাকো। আর তারপরে এই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ থেকে গোল পরিশোধ করেন নন্দকুমার। ডার্বিতে গোল করে হিরো হয়েছিলেন। এবং সামগ্রিকভাবে খুব ভালো ফুটবল না খেললেও অফফর্মে থাকা ক্লিয়েটন সিলভার ক্রস থেকে হেডে সেই গুরুত্বপূর্ণ গোল করে ম্যাচের নায়ক হয়ে যান।

এরপর টাইব্রেকারে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় একের পর এক। কিন্তু আজ ভাগ্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের সাথে। ৫-৩ ফলে টাইব্রেকার জিতে ডুরান্ড ফাইনালের টিকিট বুক করে নেয় লাল হলুদ বাহিনী। ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে আজ অভিযোগ থেকে যাবে দর্শকদের। ইস্টবেঙ্গল কোচ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন যা দলের ব্যালেন্স ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে খেলা চলাকালীন। ফাইনালে যদি কলকাতা ডার্বি হয় তাহলে করছিল এই ভুলত্রুটিগুলো সমর্থকরা ক্ষমা করবেন কি?

 

Avatar
Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর