বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মা দূর্গার (Maa Durga) সাথে তুলনা করে বিপাকে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলাশাসক বিধান রায়। ভোটের মুখে জেলা শাসকের বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি, একজন দলীয় কর্মীর মুখে এই বক্তব্য মানা গেলেও জেলা শাসকের মুখে এমন মন্তব্য মোটেও মানায়না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিধান রায় এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছেন শুক্রবার বর্ধমানের স্পন্দন কমপ্লেক্সে ‘সৃষ্টিশ্রী’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এইদিন অনুষ্ঠানে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন তিনি। প্রশংসা করেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও।
বিধান রায়ের কথায়, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মা দুর্গার মতো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনারা কেন পারবেন না। একটা জ্বলন্ত উদাহরণ আছে আমাদের সামনে। আমি অনুরোধ করব সেই উদাহরণ সামনে রেখে আপনারা এগিয়ে চলুন। আপনারা অর্থনৈতিক বুনিয়াদ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।’
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে হত জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে ভারত? মুম্বই হামলার মাষ্টারমাইন্ডের মৃত্যুতে বিস্ফোরক তথ্য
জেলাশাসকের এই বক্তব্যের পরই সুর চড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় তো জেলা প্রশাসনকে রাজ্য সরকারের ‘দলদাস’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তার মতে, জেলাশাসকের এই মন্তব্য থেকেই নাকি স্পষ্ট যে তিনি একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করবেন। পিছপা হচ্ছেনা বঙ্গবিজেপিও।
আরও পড়ুন : বোরখা ছাড়া থানায় নিয়ে যাওয়ার জের! মুসলিম মহিলার অভিযোগ শুনে হাইকোর্ট বলল… ‘ঠিক করেছে’
গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এখন তৃণমূলের কর্মীদের থেকেও বেশি মাত্রায় ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা দেবদেবীর সঙ্গে করছেন। তাতে দেবদেবীদেরও ছোট করা হচ্ছে। আমরা সন্দেশখালি দেখেছি রাজ্য কি ভাবে কাজ করছে।’ যদিও তৃণমূলের বক্তব্য অন্য।
ঘাসফুলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের ব্যাখ্যা, ‘উনি (জেলা শাসক) কেন এই মন্তব্য করেছেন সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যকে আগলে রেখেছেন, উন্নয়ন করেছেন সেই কথা ভেবে বলে থাকতে পারেন।’ যদিও বিজেপির মতে, এই দাবি কোনও দলীয় কর্মী করে থাকলে তা মানা যেত। কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্তার কাছ থেকে এহেন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।