বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট্ট একটি কাপড়ের দোকানে জামা কাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন আজাদ আনসারী। কষ্টের উপার্জন করা টাকা দিয়ে একটি পাকা বাড়ি তৈরি করাও সম্ভব হয়নি। তবে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন এমনটা নয়। আর সেই স্বপ্নই এবার যেন বাস্তবে রূপান্তরিত হল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) পূর্বস্থলীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আজাদ আনসারীর।কাপড়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি লটারি টিকিট কাটার শখ ছিল তাঁর।
সেই লটারির (Lottery) টিকিট বদলে দিল ভাগ্য। দীর্ঘদিন ধরে লটারির টিকিট কাটলেও, আজাদ আনসারী কখনো ২০০০ টাকার বেশি পুরস্কার জেতেন নি। এবার তার টিকিটেই উঠলো প্রথম পুরস্কার। গত সপ্তাহের শুক্রবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে কিছু লটারি টিকিট কেটেছিলেন তিনি। টিকিট কাটার কিছু পর আজাদ আনসারী জানতে পারেন, তার টিকিটেই উঠেছে প্রথম পুরস্কার কোটি টাকা। প্রথমটা বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। তারপর সত্যতা যাচাই করতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন আজাদ আনসারী।
আরোও পড়ুন : ঘুম উড়ল শিক্ষকদের, মমতার ক্ষোভের পরই রাজ্যের সব স্কুলে নোটিস জারি করল শিক্ষা দফতর
এই প্রসঙ্গে আজাদ আনসারী বলেন, জামা কাপড়ের দোকান চালিয়ে পরিবারের সব চাহিদা তিনি পূরণ করতে পারেননি। সে কারণেই বড়লোক হওয়ার আশায় লটারি টিকিট কাটতেন। যদি কোনদিন ভাগ্যে লটারি লাগে। অবশেষে সেই বড় পুরস্কার ভাগ্য বদলে দিল আজাদ আনসারীর। এই টাকা দিয়ে নিজের এবং নিজের পরিবারের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করবেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি কাপড়ের দোকানের ব্যবসাও বৃদ্ধি করতে চাইছেন।
তবে আর তিনি লটারির টিকিট কাটবেন না বলেও জানান আনসারী। লটারি টিকিটের প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন জানতে পারা মাত্রই নিরাপত্তার তাগিদে পূর্বস্থলী থানার দ্বারস্থ হন আজাদ আনসারী এবং তার বাবা কদম আনসারী। পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয় বাবা ছেলেকে। সবাই চাইছেন কোটিপতি হতে। তাইতো যে দোকান থেকে আজাদ আনসারী লটারি টিকিট কেটেছিলেন, সেই দোকানে এই মুহূর্তে টিকিট কেনার লাইন লেগে গিয়েছে।