একজনে বিপদে অন্য জনকে প্রশ্ন তোলার খমতা নেই? কিসের ভয়,নাকি অন্য গন্ধ

উদয়ন বিশ্বাস ঃ কলকাতা

সাম্প্রতিক বাংলার অতি জনপ্রিয় দুটি ফুটবল ক্লাবের বর্ষপূর্তি উৎসব হয়ে গেল কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এর ১০০তম বর্ষপূর্তি উৎসব। সেই উৎসব উপলক্ষে শহর এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তারা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে লাল হলুদ পতাকায়,লাল হলুদ জার্সিতে আসেন সর্পথকরা আবির খেলা হয় এবং মশাল নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁবুতে পৌঁছায় তারা। উৎসবের দিন সকালে বাগবাজারের কুমোরটুলি থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।

mb6 1সেই শোভাযাত্রায় দেখা যায় ভারতবর্ষের বিখ্যাত কিংবদন্তি ফুটবলার গোষ্ঠ পালের সুযোগ্য পুত্র নীলাংশু পাল ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পড়ে মিছিলে হাঁটছেন, এরপর মোহনবাগান সমর্থকরা সেই ছবিটি ভাইরাল করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক মোহনবাগান কর্মকর্তা সেই সোশ্যাল পোষ্টের উপর অকথ্য গালিগালাজ করে তারপর চুপ করে বসে থাকেননি মোহনবাগানের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও দীর্ঘদিন এর সর্মথক নীলাংশু পাল। ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তি নিচে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তারা পরিবার।সেই সময় তখন মোহনবাগান তাঁবুতে সাজো সাজো রব।

একের পর এক সেলিব্রিটি হাজির হচ্ছে মোহনবাগান তাঁবুতে, গান নাচের মধ্য দিয়ে পালন হচ্ছে মোহনবাগান দিবস কিন্তু যে মোহনবাগান ক্লাব কে বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম কান্ডারী ছিলেন এই গোষ্ঠ পাল সেই অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত। গোষ্ঠ পাল এর সুযোগ্য পুত্র দাবি তিনি বেশ কয়েক বছর আগে তার বাবার পদ্মশ্রী ও বিভিন্ন স্মারক মোহনবাগান তাঁবুতে ছিলো, আজ সেই পদক গুলো নেই৷ তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল তবু তার বাবার সেই মূল্যবান পদক ফিরে পায়নি গোষ্ঠ পাল এর পরিবার।

অবশেষে তারা গোষ্ঠ পালের মূর্তি তলদেশে অবস্থান করে এবং আগামী দু-একদিনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করতে চলেছে নীলাংশু পালের পরিবার। তাদের দাবি যে হারানো পদক মোহনবাগান ক্লাব হারিয়েছে সেই পদক তাকে ফেরত দেওয়া হোক। এই মর্মে মমতা ব্যানার্জী থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী কাছে লিখিত অভিযোগ করতে চলেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত ভাবে চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হচ্ছে বাবার পদ্মশ্রী রেপ্লিকা তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে।

Screenshot 2019 0730 160310

মোহনবাগানের উচ্চপর্যায়ের সদস্য কমিটি তা মানতে নারাজ, তারা বিষয়টি গুরুত্বহীন করে দিয়েছে বলে দাবী পাল পরিবারের

নীলাংশু পাল বলেন আমি যদি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সি পড়ে যদি আমি অপরাধ করে থাকি, তাহলে কলকাতা পৌরসংস্থার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ মোহনবাগানের নির্বাচনে দাঁড়ায় তাহলে সেই ব্যক্তি কি করে ইস্টবেঙ্গল জার্সি পড়ে?
নীলাংশু পালের পরিবারের আরও দাবি যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা বা তাদের পদ ফিরিয়ে না দেয় তাহলে আত্মহত্যার করতে পারেন বলে দাবি করা হয়ছে। মোহনবাগান ক্লাবে আমন্ত্রন পাইনি পাল পরিবার অভিমানি।716b3ff0 06ac 4357 9123 eef7f829258d

মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরে হাঁটা যদি অপরাধ হয়, তাহলে একাধিক মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনে দাঁড়ায় এবং সর্মথক। তা হলে তাদের জন্য ছাড় কেন? না কি নীলাংশু পালের পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার ছিলো কিছু মানুষের উদ্দেশ্য ছিলো।

বাংলার ময়দানে এখন খেলার বদলে রাজনৈতিক গন্ধ, খেলা উন্নতি হোক বা না হোক নিজেরা বাঁচলে পকেট ভর্তি।

প্রশ্ন উঠছে যে কোন ক্লাবের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় হাঁটলে কি দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হবে না তো? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার ফুটবল এখন রাজনৈতিক একটা বল যে যখন পাবে তখনই লাঁথি মারবে৷

ad

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর