বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নন্দীগ্রামকাণ্ড নিয়ে কমিশনকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানালো কমিশন। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন চিঠিতে নন্দীগ্রাম নিয়ে কেন বারবার অনভিপ্রেত মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে সুদীপবাবু লিখেছেন, ভোটাররা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের কাছে। এরপর রাজনৈতিক দল গুলোর স্থান। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনও ঘনিষ্ঠতা থাকে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এরপরেও কিছু ধারণা তৈরি করতে চাইছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কমিশন কে চালাচ্ছে? শাহ বাবু আপনি চালাচ্ছেন না তো? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।” তিনি সভায় বক্তৃতা রাখার সময় বলেন, ‘আমিও চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। কিন্তু শাহবাবু প্রতিদিন কমিশনের কাছে নাক গলাচ্ছেন।” এছাড়াও মমত বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তা আধিকারিকদের বদলি নিয়েও কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিরাপত্তা আধিকারিক বিবেক সহায়কে সরানোর প্রসঙ্গে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বলেন, বিবেক সহায়কে শুধু সরিয়ে দেওয়াই হয়নি, ওনার বিরুদ্ধে কঠোর বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ওনার অনেক ভুল রয়েছে বলে জানান তিনি।
কমিশনের কথা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বারবার বদল করা হয়েছে। উনি জেড প্লাস সিকিউরিটি পান, তাহলে বারবার প্ল্যান বদল না করার পরামর্শ দেননি কেন বিবেক সহায়? কমিশন জানায়, বিবেক সহায় নিজে বুলেট প্রুফ গাড়িতে ছিলেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ গাড়িতে। উনি কেনও মুখ্যমন্ত্রীকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বসার জন্য বলেন নি অথবা বাধ্য করেন নি?
কমিশন জানায়, মুখ্যমন্ত্রী চলন্ত গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। উনি সিট বেল্ট খুলে কেন এই কাজ করতে গেলেন, ওনাকে কেন চলন্ত গাড়িতে এই কাজ করার জন্য আটকাননি বিবেক সহায়? ভিড় রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি যাওয়ার সময় কোনও নিরাপত্তা দেও হয়নি কেন? মুখ্যমন্ত্রী দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকার সময় গাড়ির চালকই কেন গাড়ি থামিয়ে দেননি? মুখ্যমন্ত্রী কেন মোটর ভেহিকেল আইন ভাঙলেন? উনি কি ট্রেনিং নিয়েছিলেন আগে?