বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে (Pakistan) চরম দুর্ভোগে রয়েছেন মানুষ। ব্যাপক খাদ্য ও অর্থসঙ্কটে ভুগছে সে দেশ। রান্নার গ্যাসের একটি সিলিন্ডার সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকায়। তবে খোলা বাজারে নয়, কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে এটি। এক বস্তা আটার জন্য মারপিট হচ্ছে মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে একাধিক দেশ সতর্ক করল পাকিস্তানকে। যেকোনও মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে পাকিস্তানের অর্থব্যবস্থা।
এবার দেউলিয়া হয়ে যাবে পাকিস্তান (Pakistan)। সৌদি আরব (UAE) টাকার বন্যা বইয়ে দিয়েও বাঁচাতে পারছে না ভারতের পড়শি দশকে। এবার আবারও একটা মারাত্মক ঝটকা লাগল শহবাজ শরিফের। পাকিস্তানকে আর ঋণ দিতে অস্বীকার করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (IMF)। এরপরই পাকিস্তানের (Economic Crisis of Pakistan) পরিস্থিতি আরও ভায়াবহ আকার নিতে চলেছে, এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর চলতি সপ্তাহে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৪.৩৪৩ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালে বিদেশি মুদ্রার পরিমাপ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের শুরু এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার। গত বছর আইএমএফ থেকে শুরু করে একাধিক দেশে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু কোনও দেশ থেকেই সাহায্য পায়নি সে।
ঋন দেয়নি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার। যে সমস্ত কোম্পানি পাকিস্তানে ব্যবসা করছিল পালিয়ে আসতে চাইছে তারাও। মুহুর্মুহ লোডশেডিং এবং বাজারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে তাদের ব্যবসা। ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধের হুমকি দিল একাধিক বিমান সংস্কৃতিও। সব মিলিয়ে বিদ্ধস্ত অবস্থায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার দশাই হতে চলেছে পাকিস্তানের। এমনই দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।