বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের (Pakistan) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (Forex Reserve) ছিল ৫৮০ কোটি ডলার, যা দেশটির ইতিহাসে আট বছরের সর্বনিম্ন ছিল। এ রিজার্ভ দিয়ে এক মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ যে খবর সামনে আসছে তা রীতিমতো আতঙ্কজনক। জানা যাচ্ছে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানায়, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ কোটি ৭০ লক্ষ্য ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ কোটি ডলারে। বৈদেশিক ঋণের সুদ ও কিস্তি দিতে গিয়ে দেশটির রিজার্ভ ২০১৪ সালের এপ্রিল-পরবর্তী সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং স্থানীয় মুদ্রার মানে পতনসহ মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পাকিস্তান। ২০২১ সালের মার্চে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির বিনিময় মূল্য যেখানে ছিল ১৭৭ সেখানে বর্তমানে তা আন্তঃব্যাংক পর্যায়ে ২২৬-এ দাঁড়িয়েছে। খোলা বাজারে অবশ্য ২৬০-২৭০ রুপিতে ডলার বিক্রি হচ্ছে। এসঅ্যান্ডপি, মুডি’স ও ফিচের মতো শীর্ষ তিন রেটিং সংস্থাই পাকিস্তানের মুদ্রার মান অবনমন করেছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক ধর পাকিস্তানের দেউলিয়া হয়ে পড়ার ভয় উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা তার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। তারা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেশটির জন্য আশঙ্কাজনক।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ আরসালান গালফ নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কে ভাঙন, বিলম্বিত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, আইএমএফের ঋণ গ্রহণে গড়িমসি ও কাঠামোগত সংস্কার আনয়নে অনিচ্ছা এ সংকট ত্বরান্বিত করেছে। এখন সময় এসেছে এটা স্বীকার করার, আইএমএফের সঙ্গে দেনদরবার ছাড়া আমরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছি।